ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাফওয়ান হোসেন(শাওন) নিখোঁজ নদী রক্ষায় কার্যকর সংস্কারের আহবান তরী বাংলাদেশের বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি

জীবন দিয়েই পায়ের ব্যাথ্য থেকে মুক্তি নিলেন সরাইলের বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২ ১৮০ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার (৬০)। বাড়ি সরাইল উপজেলার অরূয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে। গত ৪০ বছর ধরে ডান পা পঁচা রোগে ভুগছিলেন সাত্তার। ঔষধ সেবন করলে সাময়িক সময় ব্যাথা থাকে না। পরে আবারও দীর্ঘ স্থায়ী ব্যাথা। কোন ঔষধেই উপশম হচ্ছিল না পঁচন রোগটি। এক দিকে বয়সের ভারে ন্যুজ্ব। অপরদিকে পায়ের অসহনীয় ব্যাথা তার জীবনকে বিষিয়ে তুলেছিল। গত ২৯ মে রোববার রাতের যে কোন সময় নিজের গায়ের পাঞ্জাবি ছিড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের জীবন দিয়েই পায়ের ব্যাথা থেকে মুক্তি নিলেন সাত্তার। পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃদ্ধ সাত্তারের একমাত্র ছেলে রূবেল। তিন কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন। আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী ছেলে রূবেলের সাথে থাকেন নরসিংদীতে। গ্রামের বাড়ি একেবারে ফাঁকা। তারা মাঝে মধ্যে গ্রামে আসেন। আর গত ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সাত্তার পায়ে পঁচন রোগে ভুগছেন। ছেলে রূবেল পিতাকে সুস্থ্য করার জন্য অনেক চেষ্টা করছেন। চিকিৎসক দেখিয়েছেন। ঔষধ খাইয়েছেন। কিন্তু কোন ঔষধেই ওই পঁচন রোগটির উপশম হচ্ছিল না। এক সময় চিকিৎসক ও চিকিৎসার প্রতি অনীহা এসে গেল সাত্তারের। ব্যাথায় চিৎকার করলে ছেলে ঔষধ এনে দেয়। সেবনের পর স্বল্প সময়ের জন্য ব্যাথা সামান্য কমে। পরে আবার বেড়ে যায়। এক সময় পঁচন রোগ নিয়ে অনেকটা অধৈর্য্য হয়ে পড়েন সাত্তার। তিনি মানসিকভাবেও অসুস্থ্য হয়ে যান। গত কয়েক দিন আগে সাত্তারের পায়ে ব্যাথা শুরূ হয়। ছেলে রূবেল নরসিংদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা চলছিল। গত ২৯ মে রোববার কাউকে না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান সাত্তার। রাতে চলে আসেন মেঘনা নদীর তীর ঘেষা গ্রামের বাড়ি রাজাপুরে। আজ সোমবার ভোরে নদীর পাড়ে একটি বাঁশে আব্দুস সাত্তারকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে দুবাজাইল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এসে সাত্তারের লাশ উদ্ধার করেন। ওই ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.এম মনিরূজ্জামান চৌধুরী বলেন, শুনেছি সাত্তার মানসিক রোগী ছিলেন। উনার এক পঁচন দেখেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

মাহবুব খান বাবুল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

জীবন দিয়েই পায়ের ব্যাথ্য থেকে মুক্তি নিলেন সরাইলের বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার

আপডেট সময় : ০৯:১১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার (৬০)। বাড়ি সরাইল উপজেলার অরূয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে। গত ৪০ বছর ধরে ডান পা পঁচা রোগে ভুগছিলেন সাত্তার। ঔষধ সেবন করলে সাময়িক সময় ব্যাথা থাকে না। পরে আবারও দীর্ঘ স্থায়ী ব্যাথা। কোন ঔষধেই উপশম হচ্ছিল না পঁচন রোগটি। এক দিকে বয়সের ভারে ন্যুজ্ব। অপরদিকে পায়ের অসহনীয় ব্যাথা তার জীবনকে বিষিয়ে তুলেছিল। গত ২৯ মে রোববার রাতের যে কোন সময় নিজের গায়ের পাঞ্জাবি ছিড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের জীবন দিয়েই পায়ের ব্যাথা থেকে মুক্তি নিলেন সাত্তার। পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃদ্ধ সাত্তারের একমাত্র ছেলে রূবেল। তিন কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন। আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী ছেলে রূবেলের সাথে থাকেন নরসিংদীতে। গ্রামের বাড়ি একেবারে ফাঁকা। তারা মাঝে মধ্যে গ্রামে আসেন। আর গত ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সাত্তার পায়ে পঁচন রোগে ভুগছেন। ছেলে রূবেল পিতাকে সুস্থ্য করার জন্য অনেক চেষ্টা করছেন। চিকিৎসক দেখিয়েছেন। ঔষধ খাইয়েছেন। কিন্তু কোন ঔষধেই ওই পঁচন রোগটির উপশম হচ্ছিল না। এক সময় চিকিৎসক ও চিকিৎসার প্রতি অনীহা এসে গেল সাত্তারের। ব্যাথায় চিৎকার করলে ছেলে ঔষধ এনে দেয়। সেবনের পর স্বল্প সময়ের জন্য ব্যাথা সামান্য কমে। পরে আবার বেড়ে যায়। এক সময় পঁচন রোগ নিয়ে অনেকটা অধৈর্য্য হয়ে পড়েন সাত্তার। তিনি মানসিকভাবেও অসুস্থ্য হয়ে যান। গত কয়েক দিন আগে সাত্তারের পায়ে ব্যাথা শুরূ হয়। ছেলে রূবেল নরসিংদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা চলছিল। গত ২৯ মে রোববার কাউকে না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান সাত্তার। রাতে চলে আসেন মেঘনা নদীর তীর ঘেষা গ্রামের বাড়ি রাজাপুরে। আজ সোমবার ভোরে নদীর পাড়ে একটি বাঁশে আব্দুস সাত্তারকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে দুবাজাইল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এসে সাত্তারের লাশ উদ্ধার করেন। ওই ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.এম মনিরূজ্জামান চৌধুরী বলেন, শুনেছি সাত্তার মানসিক রোগী ছিলেন। উনার এক পঁচন দেখেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

মাহবুব খান বাবুল