মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের আসন্ন উপনির্বাচনের আর মাত্র বাকী দুই দিন। যতই সময় যাচ্ছে ততই পাল্টে যাচ্ছে নির্বাচনের হালহকিকত। বিএনপিতে পদ বঞ্ছিত ও সাবেক অনেক নেতা কর্মী উকিল আবদুস সাত্তারের পক্ষে কাজ করছেন। তাদের অনেককেই কখনো গোপনে। কখনো প্রকাশ্যে ভোটের মাঠে দেখা যাচ্ছে। কিন্তু উপজেলা বিএনপি’র বর্তমান কমিটির কোন সদস্যকে সাত্তারের পক্ষে কাজ করছেন না। কাজ করছেন না যুবদল ছাত্রদলসহ অঙ্গসংগঠনের কোন নেতা কর্মী। তবে ৬-৭ দিন ধরে বিএনপি’র বর্তমান কমিটির কাউকেই পথে হাটে মাঠে কোথাও দেখা যাচ্ছে না। তারা জানিয়েছেন খুই চাপে আছেন। আছে গ্রেপ্তারের ভয়। তাই আপাতত নিরাপদে থাকার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান ও বিএনপি দলীয় একাধিক সূত্র জানায়, বিএনপি পরিবারের দীর্ঘদিনের সদস্য পাঁচ বারের সাবেক এমপি ও প্রতিমন্ত্রী উকিল আবদুস সাত্তার দল ত্যাগ করে মীরজাফরের পরিচয় দিয়েছেন। দল উনাকে বহিস্কার করেছেন। বর্তমানে উনি আর বিএনপি পরিবারের কেউ নন। সরাইল বিএনপি বা অঙ্গসংগঠনের কোন নেতা কর্মী উনার সাথে নেই। উনি আওয়ামী লীগের সাজানো প্রার্থী। অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছে আওয়ামী লীগ যেকোন উপায়ে সাত্তারকে এমপি নির্বাচিত করবেনই। আমরা বর্তমান সরকারের এমন সাজানো নির্বাচনকে সমর্থন করি না। বরং প্রত্যাখ্যান করেছি। বিএনপি’র কোন নেতা কর্মী নির্বাচনে যাবে না। কাউকে ভোটও দিবে না। তারপরও কেন জানি সরকার ও সরকারী দলের লোকজন বিএনপিকে ভয় পাচ্ছেন। সরাইল বিএনপি’র চলাফেরা ও কথা বার্তার উপর চলছে নজরদারী। এমনকি গ্রেপ্তার করার ছকও তৈরী করছেন। তাই বিএনপি’র নেতা কর্মীরা এখন প্রকাশ্যে আসছেন না। এমনকি অনেক নেতা কর্মী নিরাপদে অন্যত্র চলে গিয়েছেন। বলতে গেলে গতকাল রোববার পর্যন্ত সরাইলের মাঠ বিএনপি শুন্য হয়ে পড়েছে। যদিও তারা এর আগে সংবাদ সম্মেলন করে আবদুস সাত্তারকে সরাইলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছিলেন। কেউ কেউ দিয়েছিলেন প্রতিহত করার হুমকি। দলের একাধিক নেতা কর্মী জানান, সত্যিকার অর্থে গ্রেপ্তার এড়াতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা কর্মী এলাকা ত্যাগ করে অন্যত্র চলে গেছেন। অনেকে অন্য জেলায় ও বিভাগে চলে গেছেন। উপজেলা যুবদলের সভাপতি আবু সুফিয়ান ও সম্পাদক মো. নূর আলম বলেন, এটা কোন নির্বাচনই না। শুধু তামাশা। সাত্তারকে এমপি বানানোর একটা নাটক। ১৪ জন প্রার্থী থেকে কিভাবে ৪ জনে আনল। আবার শুনতেছি আসিফ নিখোঁজ। আছে ৩ জন। এরপর কি হবে সেটা আওয়ামী লীগ আর আল্লাহ ভাল জানেন। আমরা এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনকেই মানি না। সাত্তার নাটকের নির্বাচনকে মানার কোন প্রশ্নই আসে না। উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. নুরূজ্জামান লস্কর তপু বলেন, আমরা বর্তমান সরকারের এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করেছি। আমাদের উপর অনেক চাপ। আছে হুমকি ধমকি ও ভয়ভীতি। গত শুক্রবার রাতে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জামাল লস্করের বাড়িতে গিয়েছিল পুলিশ। তাই এলাকাতেই নিরাপদে থাকার চেষ্টা করছি। আমাদের কোন লোক ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবে না।