ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহরে অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতাল খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়ালে অপারেশন থিয়েটার থেকে লিজা নামের এক প্রসূতির এক নবজাতক গায়েব করে দেওয়ার অভিযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। প্রসূতির স্বামী নবীনগর উপজেলার আলেয়াবাদ গ্রামের ফয়হাদ আহমেদ বাদী হয়ে হাসপাতালের মালিক, চিকিৎসক, নার্সসহ ৬ জনকে আসামি করে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালের মালিক ডা. ডিউক চৌধুরী, গাইনি ও সার্জন ডা. নওরিন পারভেজ, ডা. ইসরাত আহমেদ, হাসপাতালের কো. অর্ডিনেটর মার্শাল চৌধুরী, নার্স স্নেহলতা ও অপারেশন টিম সদস্য অথৈ মন্ডল।
মামলার বাদী ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, নবীনগরের আলেয়াবাদের ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী মোছা. লিজা প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হলে উপজেলার স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক মেহেরুন্নেছার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময় আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে তার স্ত্রীর গর্ভে ২টি সন্তান দেখা যায় বলে জানান চিকিৎসকরা। সর্বশেষ ১৮ এপ্রিল করা আল্ট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টেও গর্ভে দুটি সন্তান আসে। গত শুক্রবার লিজার প্রসব ব্যথা ওঠে। যমজ শিশু গর্ভে থাকায় স্থানীয় চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে এনে সিজারিয়ান করতে পরামর্শ দেন।
সেদিন দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে শহরের খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডা. নওরিন পারভেজ আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন। তার রিপোর্টেও দুটি সন্তান দেখা যায়। পরে একই দিন তিনি নিজেই লিজাকে অপারেশন থিয়েটারে সিজারিয়ান করেন। এর কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের লোকজন এসে জানান লিজা একটি কন্যা সন্তান জন্ম দিয়েছে। আর কোনো সন্তানের কথা তারা জানাতে পারেনি। বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম জানান, খ্রিস্টিয়ান মেমোরিয়াল হাসপাতালে গর্ভে থাকা শিশু নিখোঁজের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে। পাশাপাশি আইনানুগ প্রক্রিয়া চলমান আছে।