ঢাকা ০৬:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

কসবা হাসপাতালের কোষাধ্যক্ষ, নিরাপওা প্রহরীসহ স্টাফদের হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:১৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১৯২ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় এক স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোছাম্মদ সুলতানা রাজিয়া নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংবাদ সম্মেলন । রোববার ( ১৩-০২-২০২২ইং )সকাল ১০ টায় কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি । সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোছাম্মদ সুলতানা রাজিয়া জানান , তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান । কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউপির বাসিন্দা তিনি । মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি প্রতিবদ্ধি সন্তান নিয়ে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে অনেক দিন ধরে দপ্তরবিহীন দায়িত্ব পালন করছেন। তার স্বামী মোজাম্মেল হক সরকার একই উপজেলার মেহারী ইউপির নৈশ্যপ্রহরী কাম অফিস সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে হাসপাতালের কোয়াটারে তার অবস্থান। হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারীদের অনিয়ম,কোয়াটার বাণিজ্য,মাদক পাচারে সহযোগিতা, স্বাক্ষর জালজালিয়াতিসহ অনিয়ম আর অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় বিপাকে পড়েছেন মোছাম্মদ সুলতানা রাজিয়া। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ,দীর্ঘ দিন থেকে হাসপাতালের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন, নিরাপওা প্রহরী মো:শাহিন, প্রধান সহকারী মো:সামছুল আলম,পিয়ন লাভলু রহমান চৌধুরী,ড্রাইভার শামিম মিয়াসহ কতিপয় কর্মকর্তার নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তিনি । দায়িত্ব পালন করলেও দপ্তরবিহীন অবস্থা তাকে দায়িত্বপালন করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন। হাসপাতালের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির প্রত্যক্ষ মদদে সুলতানা রাজিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের হামলা মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে । সর্বশেষ , গত ৪ ফেব্রয়ারী রাত প্রায় ৩টায় হাসপাতালে আমাদের কোয়াটার বিহঙ্গরের সামনের রাস্তায় ভারতীয় গাঁজা পাচারকালে আমি ও আমার স্বামী টের পেয়ে কসবা থানার এএস আই মো:মাসুদ পারভেজসহ পুলিশকে সংবাদ দিয়ে ২কেজি গাঁজা সহ ৩জনের মধ্যে ১জনকে আটক করা হয়। অপর দুইজনকে বিল্লাল ও শাহিনসহ কয়েকজন পালানোর সহায়তা করেন। যার মামলা নং- ৫। এইটাই আজ আমার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এই চক্রের ইন্ধনে গত ১বছর আমার ও আমার স্বামীর ওপর হামলাসহ মিথ্যা মামলা হয়েছে উল্লেখ করে মোছাম্মদ সুলতানা রাজিয়া জানান। গত ১০ ফেব্রয়ারী রাতে আমাকে বিল্লাল ও শামিম কু প্রস্তাব দিলে আমি রাজি না হয়ে প্রকাশ্য তাদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করেছি। আমি বিল্লাল হোসেন ও মো:শামীম মিয়ার বিরুদ্ধে কসবা থানায় ১১ ফেব্রয়ারি এস ডি আর নং ২৫৬ নং লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আমাকেসহ আমার স্বামীকে অনৈতিক ভাবে বদলিসহ ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভিত্তিহীন মামলা দিয়েছেন। আপনাদের মাধ্যমে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে হয়রানির সুষ্ঠ বিচার এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং আইনমন্ত্রী,স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্ব-রাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি । সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুলতানা রাজিয়ার বড় ছেলে শিক্ষার্থী স্বাধীন সরকার,কন্যা ও প্রতিবদ্ধি সন্তানসহ ৪জন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কসবা হাসপাতালের কোষাধ্যক্ষ, নিরাপওা প্রহরীসহ স্টাফদের হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ১০:১৬:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২

বিভিন্ন হয়রানির অভিযোগ এনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলায় এক স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স এর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মোছাম্মদ সুলতানা রাজিয়া নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংবাদ সম্মেলন । রোববার ( ১৩-০২-২০২২ইং )সকাল ১০ টায় কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি । সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোছাম্মদ সুলতানা রাজিয়া জানান , তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান । কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউপির বাসিন্দা তিনি । মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি প্রতিবদ্ধি সন্তান নিয়ে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে অনেক দিন ধরে দপ্তরবিহীন দায়িত্ব পালন করছেন। তার স্বামী মোজাম্মেল হক সরকার একই উপজেলার মেহারী ইউপির নৈশ্যপ্রহরী কাম অফিস সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে হাসপাতালের কোয়াটারে তার অবস্থান। হাসপাতালের কতিপয় কর্মচারীদের অনিয়ম,কোয়াটার বাণিজ্য,মাদক পাচারে সহযোগিতা, স্বাক্ষর জালজালিয়াতিসহ অনিয়ম আর অত্যাচারের প্রতিবাদ করায় বিপাকে পড়েছেন মোছাম্মদ সুলতানা রাজিয়া। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ,দীর্ঘ দিন থেকে হাসপাতালের কোষাধ্যক্ষ বিল্লাল হোসেন, নিরাপওা প্রহরী মো:শাহিন, প্রধান সহকারী মো:সামছুল আলম,পিয়ন লাভলু রহমান চৌধুরী,ড্রাইভার শামিম মিয়াসহ কতিপয় কর্মকর্তার নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তিনি । দায়িত্ব পালন করলেও দপ্তরবিহীন অবস্থা তাকে দায়িত্বপালন করতে হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন। হাসপাতালের প্রভাবশালী কিছু ব্যক্তির প্রত্যক্ষ মদদে সুলতানা রাজিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের হামলা মামলাসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে । সর্বশেষ , গত ৪ ফেব্রয়ারী রাত প্রায় ৩টায় হাসপাতালে আমাদের কোয়াটার বিহঙ্গরের সামনের রাস্তায় ভারতীয় গাঁজা পাচারকালে আমি ও আমার স্বামী টের পেয়ে কসবা থানার এএস আই মো:মাসুদ পারভেজসহ পুলিশকে সংবাদ দিয়ে ২কেজি গাঁজা সহ ৩জনের মধ্যে ১জনকে আটক করা হয়। অপর দুইজনকে বিল্লাল ও শাহিনসহ কয়েকজন পালানোর সহায়তা করেন। যার মামলা নং- ৫। এইটাই আজ আমার জন্য কাল হয়ে দাড়িয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। এই চক্রের ইন্ধনে গত ১বছর আমার ও আমার স্বামীর ওপর হামলাসহ মিথ্যা মামলা হয়েছে উল্লেখ করে মোছাম্মদ সুলতানা রাজিয়া জানান। গত ১০ ফেব্রয়ারী রাতে আমাকে বিল্লাল ও শামিম কু প্রস্তাব দিলে আমি রাজি না হয়ে প্রকাশ্য তাদের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদ করেছি। আমি বিল্লাল হোসেন ও মো:শামীম মিয়ার বিরুদ্ধে কসবা থানায় ১১ ফেব্রয়ারি এস ডি আর নং ২৫৬ নং লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। আমাকেসহ আমার স্বামীকে অনৈতিক ভাবে বদলিসহ ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভিত্তিহীন মামলা দিয়েছেন। আপনাদের মাধ্যমে যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে হয়রানির সুষ্ঠ বিচার এবং দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষ এবং আইনমন্ত্রী,স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্ব-রাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে সুদৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি । সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সুলতানা রাজিয়ার বড় ছেলে শিক্ষার্থী স্বাধীন সরকার,কন্যা ও প্রতিবদ্ধি সন্তানসহ ৪জন।