ঢাকা ০৭:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫, ২৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কসবা বায়েক ইউপি যুবদল নেতার কান্ড গরু ব্যবসায়ীর কান কর্তন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২ ৩২১ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ী মো মাইনউদ্দিনকে গরু ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামেলার জেরে যুবদল নেতা পারভেজের নেতৃত্বে কুপিয়ে কান কর্তন করা হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মাইনউদ্দিনের বসত ভিটায় জোড়পূর্বক ঢুকে ৮/৯ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল দা দিয়ে কুপিয়ে মাইনউদ্দিনের কান কর্তন করে। এ সময় জোহেরা খাতুন (৪৯) নামীয় একজন মহিলা গুরুতর আহত ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়। মামলার এজাহার,হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে,মূলত গরু ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত। আসামী যুবদল নেতা মো পারভেজ মিয়া ৩২,মো আল আমিন ২৪,মো উজ্জল মিয়া ২৭,মো সোহাগ মিয়া ২৪, মো রোবেল মিয়া ২৮, মো মনির চৌধুরী ২৮,মো ছিদ্দিকুর রহমান ৫৬, মো মেহেদী ২৫, মো আক্তার হোসেন ৩৫, এর সাথে বাদী মাইনউদ্দিনের গরু ব্যবসা নিয়ে পূর্ব থেকেই দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। বাদী গরু ব্যবসা করলে আসামীদেরকে নিয়মিত বখরা দিয়ে ব্যবসা করতে হবে বলে দাবী করে। এ নিয়ে দীর্ঘ বিরোধের প্রেক্ষিতে গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় আসামীগণ পরষ্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদীর বসতভিটায় জোড়পূর্বক প্রবেশ করে বাড়ীঘর আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও গরু বিক্রির নগদ দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময়ে মাইনউদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে তার কান মাঝ বরাবর কেটে যায়। তাছাড়া জোহেরা খাতুন বাধা দিতে গেলে তাকে হত্যা ও শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে আসামীগণ আক্রমণ করে। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছোড়া দিয়ে আঘাত করলে কনুই বরাবর মারাত্মক গ্রিভিয়াস জখম হয় এমনকি তার বাম পায়ের আঙ্গুলেও মারাত্মক জখম হয়। আসামীরা জোহেরা খাতুনকে শ্লীলতাহনির সময় তার গলায় থাকা এক ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইন জোড়পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহতদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জরুরি ভিত্তিতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য উভয় রোগীকে প্রেরণ করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। বিস্তারিত তদন্তের পর মামলার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমরান জানান মামলা এফ আই আর করা হচ্ছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা চলছে।

এনই আকন্ঞ্জি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

কসবা বায়েক ইউপি যুবদল নেতার কান্ড গরু ব্যবসায়ীর কান কর্তন

আপডেট সময় : ০৭:৪২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২

কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ী মো মাইনউদ্দিনকে গরু ব্যবসা সংক্রান্ত ঝামেলার জেরে যুবদল নেতা পারভেজের নেতৃত্বে কুপিয়ে কান কর্তন করা হয়েছে। গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় মাইনউদ্দিনের বসত ভিটায় জোড়পূর্বক ঢুকে ৮/৯ জনের সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দল দা দিয়ে কুপিয়ে মাইনউদ্দিনের কান কর্তন করে। এ সময় জোহেরা খাতুন (৪৯) নামীয় একজন মহিলা গুরুতর আহত ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়। মামলার এজাহার,হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে,মূলত গরু ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই ঘটনার সূত্রপাত। আসামী যুবদল নেতা মো পারভেজ মিয়া ৩২,মো আল আমিন ২৪,মো উজ্জল মিয়া ২৭,মো সোহাগ মিয়া ২৪, মো রোবেল মিয়া ২৮, মো মনির চৌধুরী ২৮,মো ছিদ্দিকুর রহমান ৫৬, মো মেহেদী ২৫, মো আক্তার হোসেন ৩৫, এর সাথে বাদী মাইনউদ্দিনের গরু ব্যবসা নিয়ে পূর্ব থেকেই দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। বাদী গরু ব্যবসা করলে আসামীদেরকে নিয়মিত বখরা দিয়ে ব্যবসা করতে হবে বলে দাবী করে। এ নিয়ে দীর্ঘ বিরোধের প্রেক্ষিতে গত ১২ এপ্রিল সন্ধ্যায় আসামীগণ পরষ্পর যোগসাজশে পূর্বপরিকল্পিতভাবে বাদীর বসতভিটায় জোড়পূর্বক প্রবেশ করে বাড়ীঘর আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও গরু বিক্রির নগদ দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময়ে মাইনউদ্দিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় আঘাত করলে তার কান মাঝ বরাবর কেটে যায়। তাছাড়া জোহেরা খাতুন বাধা দিতে গেলে তাকে হত্যা ও শ্লীলতাহানির উদ্দেশ্যে আসামীগণ আক্রমণ করে। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছোড়া দিয়ে আঘাত করলে কনুই বরাবর মারাত্মক গ্রিভিয়াস জখম হয় এমনকি তার বাম পায়ের আঙ্গুলেও মারাত্মক জখম হয়। আসামীরা জোহেরা খাতুনকে শ্লীলতাহনির সময় তার গলায় থাকা এক ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইন জোড়পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আহতদেরকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জরুরি ভিত্তিতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য উভয় রোগীকে প্রেরণ করেন।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। বিস্তারিত তদন্তের পর মামলার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইমরান জানান মামলা এফ আই আর করা হচ্ছে এবং আসামীদের গ্রেফতার করতে চেষ্টা চলছে।

এনই আকন্ঞ্জি