ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় মুক্তা আক্তারের স্বাভাবিক মৃত্যুকে হত্যা মামলা চালিয়ে ও জমি জায়গা দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাদৈর গ্রামের জজু মিয়ার পরিবারের সদস্যরা। আজ ১ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার সকালে কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থী মুক্তা আক্তার ৯ মাস আগে জমি থেকে ধান আনতে গিয়ে বাড়ির পাশে খালের উপর একটি সাকুতে পড়ে গিয়ে গুরুত্বর আহত হয়। চিকিৎসা আর অযত্নের কারণে মুক্তা আক্তার অবশেষে মৃতুবরণ করেন। এই মৃত্যুকে হত্যাকান্ড বলে বিভিন্ন পায়তারাসহ মনগড়া বক্তব্য দিয়ে বিল্লাল মিয়া সহ কয়েক জন আমাদেরকে হয়রানি করায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একই সঙ্গে বিল্লাল মিয়ার মিথ্যা মামলাসহ বাড়ি ঘর,জমি দখলের প্রতারণা থেকে মুক্তি পেতে আইনমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সুনজর কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠদানে জজু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিল্লাল মিয়া আমাদের নানা নানীর অংশ দখলসহ জমি জায়গা বিক্রি করে দেয় এবং আমাদের অংশ বুঝিয়ে না দিয়ে বিভিন্ন ভাবে কিছু কুচক্রীমহলকে হাতে নিয়ে অবিচার অত্যাচারসহ হয়রানী করিতে থাকেন। জমি দখলসহ জায়গা না বুঝিয়ে দিলে আমরা বিজ্ঞ আদালতে দেওয়ানী মামলা নং ২৪৪,তারিখ ২০১৪ইং দায়ের করি। দেওয়ানী মামলা করার পর থেকে আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করিতে থাকেন। প্রকৃত পক্ষে মুক্তা আক্তারকে হত্যা করা হয়নি যার প্রমাণ ময়না তদন্তে প্রকৃতি ঘটনাটি প্রকাশ পাবে। বিল্লাল মিয়াসহ তার ভাই ও ভাতিজাদের অত্যাচারে আমরা নিরুপায় হয়ে পড়েছি। সংবাদ সম্মেলনে জজুর পরিবারের সদস্যদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে এবং জমি জায়গা ফেরতের জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী এবং স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে জজু মিয়ার স্ত্রী রমুজা খাতুন পরিবারের সদস্যসহ মো:হোসেন,আবুল কাশেম,জীবন মিয়া,সাফকুল ইসলাম,অহিদ ভুইয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কসবা প্রতিনিধি