এলাকায় না থেকেও মাদক মামলার আসামি সাকিব
- আপডেট সময় : ০১:৪৬:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মে ২০২৩ ২৫৮ বার পড়া হয়েছে
ব্যক্তিগত আক্রোশে এক যুবককে মাদক মালায় ফাসানোর অভিযোগ উঠেছে। হবিগঞ্জের মাদবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের সোয়াবই গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই যুবকের নাম ফুয়াদ হাসান সাকিব (২৬), তিনি ওই গ্রামের হাজী সিরাজুল ইসলামের ছেলে। তিনি তার নিজস্ব খামারের একজন মৎস চাষী। এঘটনায় বিজিবির দায়ের করা মাদক মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, গত ০৫ মে মাধবপুর উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের রাজেন্দ্রপুর গ্রামে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ৪০ কেজি গাজা উদ্ধার করে বিজিবি। এসময় বিজিবির ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যায় মাদক ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এই ঘটনায় বিজিবির সোর্স রুবেল, মাদক সম্রাট জুয়েল ও জামালের ভুল তথ্যের উপর ভিত্তি করে সাকিবকে এক নম্বর আসামী করে একটি মাদক ও বিজিবিকে এসল্ট মামলা দায়ের করে বিজিবি। অথচ এই ঘটনার সময় সাকিব তার পরিবার নিয়ে সিলেটের জাফলং বেড়াতে গিয়েছিলেন। গত ১ মে থেক ৬ মে তিনি সিলেটের পানশী হোটেলে অবস্থান করছিলেন বলে দাবী সাকিবের।
পরবর্তীতে এই বিষয়টি নিয়ে “সিএনএন বাংলা” নামক কথিত একটি অনলাইন টিভি সংবাদ প্রকাশ করে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এঘটনায় সোর্স ও কথিত ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ৯ মে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশের আইজিপি বরাবর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাকিবের অভিযোগটি আমলে নিয়ে হবিগঞ্জের আতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী বিষয়টি তদন্ত করছেন বলে জানা গেছে। এদিকে অসৎ উদ্যেশে ওই অনলাইন টিভিতে সাকিবের ছুড়ি হাতে একটি ছবি ব্যবহার করা হয়েছে যেটি সাকিবের টিকটক ভিডিও থেকে নেওয়া। ওই ছুড়িটি নকল বলে জানান সাকিব। সাকিবের বিরুদ্ধে আগের কোন মাদক মামলা নেই।
তবে ৫ মে’র ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় সাকিবের আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতির সমুক্ষিন হচ্ছেন বলে জানান সাকিব। তিনি আরো জানান, গত কয়েক বছর আগে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তিনি পুলিশের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন, এর ফলে তাদের অনেক ক্ষতি হয়। পরে ওই মাদক চক্রটি তার পিছে লেগে যায়। ওই ঘটনার পর থেকেই সাকিবকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের মধ্যে ফাঁসানোর চেষ্টা করে আসছে মাদক ব্যবসায়ীরা। এবিষয়ে মাধবপুরের ধর্মঘর কোম্পানি সদরের হাবিলদার ও মামলার বাদী মোশারফ হোসেন সাংবাদিকের কাছে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তবে বিজিবির হরষপুর ক্যাম্প কমান্ডার দরুল হুদা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন অভিযুক্ত সাকিব স্ব-পরিবারে সিলেট ছিলেন। এই তথ্যটি পুলিশ বিজিবি সহ এলাকার সাধারণ মানুষ জানেন। আমি ছুটিতে ছিলাম, আমার দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় অন্য ক্যাম্পের লোক এসে ঘটনাটা ঘটিয়েছে।