উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সরাইলে চেয়ারম্যান পদে মাঠে ১৪ প্রার্থী!

- আপডেট সময় : ০৯:০৮:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৯০ বার পড়া হয়েছে
মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ কাটেনি। এরই মধ্যেই বেঁজে ওঠেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঢামাঢোল। হুমরি খেয়ে কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। তবে জাতীয় প্রতীক না থাকার ঘোষণায় প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সরাইলে এবার পুরাতনের চেয়ে নতুন প্রার্থীর সংখ্যাই বেশী। শুধু চেয়ারম্যান পদেই এখন পর্যন্ত মাঠে আছেন ১৪ প্রার্থী। প্রার্থীদের ব্যানার পেষ্টুনে ইতিমধ্যে গরম হয়ে ওঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ছবি সম্বলিত প্রচারণার পোষ্টারে ছেয়ে গেছে ইউনিয়ন ও উপজেলা সদরের বিভিন্ন দেওয়াল।
আর ভোটারদের আলোচনা সমালোচনায় সরগরম হয়ে ওঠেছে শহর ও গ্রামের চায়ের দোকান হোটেল রেস’রা। সরজমিন অনুসন্ধান ও স’ানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গত ৭ জানুয়ারি শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সঙ্গত কারণেই এই আসনের সংসদ নির্বাচনটি ছিল বেশ জমজমাট। আনন্দ উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎকন্ঠা কোনটিই কম ছিল না ওই নির্বাচনে। সংসদ নির্বাচনের আমেজটা শেষ না হতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ঘোষণায় আবারও নড়েচড়ে ওঠেছে সরাইল। ক্ষমতাসীন দল থেকে জাতীয় প্রতীক না দেওয়ার ঘোষণায় কয়েকধাপ এগিয়ে আসছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনের আরো বাকি দুই মাস। কিন’ সরাইলে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ব্যানার, ফেষ্টুনে গরম করে ফেলেছেন নির্বাচনী মাঠ। সকাল বিকাল দুপুর রাতে কোমর বেঁধে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। স্বস্ব কৌশলে প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনার প্রতিযোগিতা চোখে পড়ছে হর-হামেশা। অতীত ভুলে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ভোটারদের। প্রার্থীর সংখ্যা বেশী দেখে কৌশলী ভূমিকায় চলে গেছেন ভোটাররা। নীরবে ভাল প্রার্থীর সন্ধান করছেন তারা। কাউকেই কথা দিচ্ছেন না।
শেষ মূহুর্তে ভাল প্রার্থী বাছাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা ভাবছেন সাধারণ ভোটাররা। এবারও প্রার্থীতার কথা জানান দিয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান ও সরাইল উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন ঠাকুর। অতীত ও চলমান উন্নয়ন ও জনসেবার দৃষ্টান্ত সামনে এনে ভোট প্রার্থনা করছেন তিনি। নিজের সফলতা তুলে ধরে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফও নিজের প্রার্থীতার কথা জানান দিচ্ছেন। নিয়মিত সভা সেমিনার উঠান বৈঠক ও জনসংযোগ করছেন তিনি। সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সম্পাদক মো. শের আলম মিয়াও নিজের কর্মকান্ড তুলে ধরে এবার চেয়ারম্যান পদে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। উপজেলা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক নেতা, বিএনপি’র দুইযুগেরও অধিক সময়ের সাধারণ সম্পাদক, ১/১১ এর কারা নির্যাতিত নেতা মো. আনোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে মাঠে কাজ করছেন। তিনি দিনে রাতে মানুষের কাছে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এড. নুরূজ্জামান লস্কর তপু দলের সিগনালের অপেক্ষায় আছেন। তিনি সমগ্র উপজেলায় রাজনৈতিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করে মানুষের ভালবাসা আর সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন। প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে তৃণমূলে দৌঁড়ঝাঁপ করছেন উপজেলা আ’লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. আব্দুর রাশেদ। অত্র এলাকার বিশিষ্ঠ আলেমে দ্বীন প্রয়াত আল্লামা মোহাম্মদ আলী (র) এর ছেলে মাওলানা কুতুব উদ্দিন নিজের প্রার্থীতা সভা সেমিনারে গ্রামে গঞ্জে ঘুরে ফিরে জানান দিচ্ছেন। কুতুব উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদের ব্যবস’াপনা পরিষদ ও বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব সফলতার সাথে পালন করছেন। তিনি সকল শ্রেণি পেশার মানুষের সমর্থন ভালবাসা ও দোয়া প্রত্যাশা করছেন।
তিনি প্রয়াত পিতার আদর্শকে বুকে ধারণ করে মানুষের সেবা করার ইচ্ছা ব্যক্ত করছেন। আ’লীগ নেতা, বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ি, সমাজসেবক, সেলিম খন্দকার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মো. সেলিম খন্দকার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি পাড়া মহল্লায় বাড়ি বাড়ি সভা সেমিনার করে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। ব্যবসায়ি ও সমাজসেবক মো. জামাল মিয়া প্রার্থীতা ঘোষণা করে জয়লাভের বিষয়ে দূঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা আ’লীগের সাবেক নেতা এড. মো. মুখলেছুর রহমান। তিনি নিজ এলাকায় দিনে রাতে ভোটার নিয়ে সভা সেমিনার ও জনসংযোগ করছেন। এছাড়া কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মো. নাজিম উদ্দিন ভাসানী, সরাইল সদর ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান প্রয়াত ছাদেক ঠাকুরের ছেলে মো. সোহেল ঠাকুর, স্বনামধন্য ও শিক্ষিত পরিবারের সন্তান মোহাম্মদ নিয়াজ উদ্দিন ঠাকুর রানা, শাহবাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, ইউপি যুবলীগের সাবেক সম্পাদক ও ফ্রন্ট লাইনের সাহসী বীর
মুক্তিযোদ্ধা তামান্না মিয়ার ছেলে রাজিব আহমেদ রাজ্জি চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। তারা সকলেই বিভিন্ন ভাবে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত রয়েছেন। তবে প্রার্থীদের এই সংখ্যা আরো লম্বাও হতে পারে বলে ধারণা করছেন অনেকেই।