মাহবুব খান বাবুলঃ সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য সাবেক প্রতিমন্ত্রী বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার জন্মস্থান সরাইলে দ্বিতীয় জানাযায় আসেননি বিএনপি। বিএনপি’র জেলা উপজেলার কোন নেতা না আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর। তিনি বিএনপিকে উদ্যেশ্য করে মাইকে বলেছেন, ৩০-৩৫ বছর যে মানুষটির রক্ত শিরিঞ্জ দিয়ে চুষে খেয়ে টাকা পয়সার মালিক হলেন। আজকে সেই মানুষটির শেষ বিদায়ের দিন জানাযায় আসলেন না। কাজটি মোটেও ভাল করেননি। সূত্র জানায়, আজ শনিবার বাদ আছর সরাইল অন্নদা স্কুল মাঠে আব্দুস সাত্তারের দ্বিতীয় জানাযায় সহস্রাধিক মানুষ অংশ গ্রহন করেন।
জানাযায় অংশ গ্রহন করে শোক প্রকাশ করেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য এ বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, বেসরকারী শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সরাইল সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, সরাইল উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এডভোকেট মুহাম্মদ নাজমুল হোসেন, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মো. মাহফুজ আলী, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার ও সাত্তার ভূঁইয়ার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার। তারা সকলেই উনার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
বক্তারা বলেন, আব্দুস সাত্তার ছিলেন সত্যিকারের আদর্শবান একজন রাজনীতিবিদ। সাদামাটা জীবনের অধিকারী এমপি মন্ত্রী আব্দুস সাত্তারের মানুষ সহজেই যেতে পারতেন। মনের সুখ দু:খ বলতে পারতেন। তিনি জীবনে কারো কোন ক্ষতি করেননি। উনার সরাইল হারিয়েছে একজন অভিভাবক। আর জাতী হারিয়েছে একজন দেশ প্রেমিক নেতা। কিন্ত দীর্ঘ ৩০-৩৫ বছর উপজেলা জেলায় ও মহান সংসদে যে দলটির প্রতিনিধিত্ব করলেন সেই দলের কোন নেতা উনার জানাযায় অংশ গ্রহন করেননি। বিষয়টি নিয়ে জানাযায় অংশ গ্রহনকারী অনেককেই কানা ঘুষনা করতে দেখা গেছে।
পিতার কবরের পাশেই সমাহিত হলেন:
বাদ এশা চতুর্থ ও সর্বশেষ জানাযা অনুষ্ঠিত হয় উনার নিজ গ্রাম পরমানন্দপুরে। সেখানে আশপাশের গ্রাম গুলো থেকে লোকজন এসে উনার জানাযায় অংশ গ্রহন করেন। জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে উনার পিতা প্রয়াত হাজী মুকসুদ আলীর কবরের পাশেই সমাহিত করা হয় বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়াকে।