ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিখোঁজ শাফওয়ান হোসেনকে পাওয়া গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্র শাফওয়ান হোসেন(শাওন) নিখোঁজ নদী রক্ষায় কার্যকর সংস্কারের আহবান তরী বাংলাদেশের বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি

আশুগঞ্জে জনবসতিতে রাইস মিলের কালো ধোঁয়া ও উড়ন্ত ছাইয়ে হুমকিতে জনজীবন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩ ১৩৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অটোমেটিক ডায়ার রাইস মিলের কারণে জনজীবনে নেমে আসা দুর্ভোগ থেকে পরিত্রান পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী। শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আবু তাহের মার্কেট প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দূর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ওবায়দুল হক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশুগঞ্জ দূর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা গ্রামে প্রকৃতি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে স্থানীয় দুটি অটোমেটিক ডায়ার রাইস মিল তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ধানি জমির পাশে ও জনবহুল এলাকাতে মিলগুলো পরিচালিত হওয়ায় স্থানীয়রা মারাত্মক দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। এছাড়া মিলগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া, উড়ন্ত ছাই ও ধূলাবালির কারণে স্থানীয়রা শ্বাসকষ্ট ও চোখের রোগসহ বিভিন্ন ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সে সাথে মিলের গরম পানি মিশ্রিত ছাই পাশ্ববর্তী খালে ফেলায় পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ে। এসব বিষাক্ত পানি ধানি জমিতে ঢুকে পড়ায় ধানি জমির ফসলসহ উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। খালটির বেশিরভাগ অংশ ছাই মিশ্রিত পানিতে ভরাট হয়ে পড়ায় প্রভাব পড়েছে জীব-বৈচিত্রের উপর। গ্রামবাসী বিষয়টি মিল মালিকদের বার বার জানালেও তারা তাতে কোন কর্ণপাত করেনি। বরং উল্টো গ্রামবাসীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী ধামকী প্রদান করে বে-আইনীভাবে মিলের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরকে লিখিত অভিযোগ দিলেও এর কোন প্রতিকার হয়নি। পরবর্তীতে গ্রামবাসী পরিত্রান পেতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বক্তারা, জনস্বার্থ রক্ষায় অবিলম্বে দুর্ভোগ হতে রেহাই পেতে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য মোঃ ছাদির, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আবরু মিয়া, স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান, মোঃ হানিফ মিয়া, মোঃ আব্দুল হাইসহ গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আশুগঞ্জে জনবসতিতে রাইস মিলের কালো ধোঁয়া ও উড়ন্ত ছাইয়ে হুমকিতে জনজীবন

আপডেট সময় : ১০:০০:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৩

মোঃনিয়ামুল ইসলাম আকন্ঞ্জিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অটোমেটিক ডায়ার রাইস মিলের কারণে জনজীবনে নেমে আসা দুর্ভোগ থেকে পরিত্রান পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী। শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন আবু তাহের মার্কেট প্রাঙ্গণে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দূর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি ওবায়দুল হক। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আশুগঞ্জ দূর্গাপুর ইউনিয়নের খড়িয়ালা গ্রামে প্রকৃতি ও পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করে স্থানীয় দুটি অটোমেটিক ডায়ার রাইস মিল তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ধানি জমির পাশে ও জনবহুল এলাকাতে মিলগুলো পরিচালিত হওয়ায় স্থানীয়রা মারাত্মক দুর্ভোগের মুখে পড়েছে। এছাড়া মিলগুলো থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া, উড়ন্ত ছাই ও ধূলাবালির কারণে স্থানীয়রা শ্বাসকষ্ট ও চোখের রোগসহ বিভিন্ন ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন। সে সাথে মিলের গরম পানি মিশ্রিত ছাই পাশ্ববর্তী খালে ফেলায় পানি বিষাক্ত হয়ে পড়ে। এসব বিষাক্ত পানি ধানি জমিতে ঢুকে পড়ায় ধানি জমির ফসলসহ উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। খালটির বেশিরভাগ অংশ ছাই মিশ্রিত পানিতে ভরাট হয়ে পড়ায় প্রভাব পড়েছে জীব-বৈচিত্রের উপর। গ্রামবাসী বিষয়টি মিল মালিকদের বার বার জানালেও তারা তাতে কোন কর্ণপাত করেনি। বরং উল্টো গ্রামবাসীকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকী ধামকী প্রদান করে বে-আইনীভাবে মিলের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা জেলা প্রশাসক, পরিবেশ অধিদপ্তরকে লিখিত অভিযোগ দিলেও এর কোন প্রতিকার হয়নি। পরবর্তীতে গ্রামবাসী পরিত্রান পেতে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন। বক্তারা, জনস্বার্থ রক্ষায় অবিলম্বে দুর্ভোগ হতে রেহাই পেতে স্থানীয় প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে ইউপি সদস্য মোঃ ছাদির, সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আবরু মিয়া, স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ শাহজাহান, মোঃ হানিফ মিয়া, মোঃ আব্দুল হাইসহ গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।