আশুগঞ্জের আর.জে টাওয়ার মামলায় দুই রকম প্রতিবেদন দিলেন পুলিশ পরিদর্শক

- আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ১৯৭ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের এক মামলায় আদালতে দুই রকম প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। তিনি বর্তমানে রাঙামাটি জেলায় কর্মরত আছেন। আশুগঞ্জের ৩ তারকা হোটেল আর.জে টাওয়ারের একটি মামলায় আদালতের চাওয়া প্রতিবেদন ও অভিযোগপত্রের প্রতিবেদনে দুই রকম তথ্য দেন ওই তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আদালতে দেওয়া প্রতিবেদন ও অভিযোগপত্রের প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৬ অক্টোবর র্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা আশুগঞ্জের ৩ তারকা মানের হোটেল এন্ড রিসোর্টের মদের বারে অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে ৩৯জনকে মাদক ক্রয়-বিক্রয়ের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এসময় দেশী-বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় র্যাব বাদি হয়ে আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। এই মামলায় আদালত মালিকানা যাচাই ও প্রতিবেদনের জন্য আশুগঞ্জ থানা পুলিশকে আদেশ দেয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম তদন্ত করে গত ২০ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে বলা হয়, আর.জে টাওয়ারকে জেলা প্রশাসন ‘এফ’ মানের লাইসেন্স ইস্যু করে এবং বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় থেকে ‘তিন’ তারকা মান প্রদান করে। এই হোটেল ও রিসোর্টটি ২০১৯ সালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে বারের লাইসেন্স প্রাপ্ত হয় এবং এতে মদ জাতীয় পানীয় ৩ হাজার লিটার মজুদ করার অনুমতি পায়। আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে পরিদর্শক মনিরুল র্যাবের অভিযানে উদ্ধার হওয়া মদ ও মদ জাতীয় পানীয়কে বৈধ উল্লেখ্য করেন। পরবর্তীতে একই মামলায় পরিদর্শক মনিরুল চলতি বছরের গত বৃহস্পতিবার(১৭ ফেব্রুয়ারী) আদালতে দাখিল করা অভিযোগপত্রে উদ্ধার হওয়া মদ ও মদ জাতীয় পানীয়কে অবৈধ উল্লেখ করেন। এছাড়াও আদালতে দেওয়া প্রতিবেদনে পরিদর্শক হিসেবে স্বাক্ষর করলেও অভিযোগপত্রে মনিরুল ইসলাম উপ-পরিদর্শক হিসেবে স্বাক্ষর করেন।
এই বিষয়ে রাঙামাটি জেলায় বদলী হওয়া পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, উদ্ধার হওয়া মদ বৈধ ও বিক্রয় করা অবৈধ লিখেছি। আর অভিযোগপত্রে সাব-ইন্সপেক্টর ভূল লিখা হয়েছে। আর.জে টাওয়ারের পরিচালক সরওয়ার শফিক বলেন, আশুগঞ্জে সরকারের বিভিন্ন মেঘা প্রকল্পে ৫ শতাধিক দেশের বিদেশী কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। তাদের চাহিদা অনুযায়ী আমরা রিসোর্টের পাশাপাশি বার লাইসেন্স এনে পরিচালনা করে আসছি। লাইসেন্সকৃত মদ-বিয়ার অবৈধ হয় কিভাবে? আমাদের এটা রেস্টুরেন্টে এন্ড মদের বার। এখানে বিদেশীরা ছাড়াও যাদের লাইসেন্স আছে তারাই শুধু মদ পান করতে এসেছিলেন। উপরে থাকা আবাসিক অতিথিরা নাস্তা করতে এসেছিলেন। কোন প্রকার ডোপ টেস্ট না করেই তাদেরকেও মদ সেবনকারী হিসেবে গ্রেফতার করা হয়। আমরা এই অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আপিল করবো।
এনই আকন্ঞ্জি