আবদুল মতিন শিপন।
ছাত্রনেতা শাহাদাৎ হোসেন শোভন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর থেকে নিজেকে মেলে ধরেছেন মানবিক ও মানবিকতার উজ্জ্বল প্রতিক হিসেবে। তার বিনয় নম্রতা বড়দের যেমন আকর্ষন করে ঠিক ছোটদেরকেও স্নেহের ডোরে আবদ্ধ করে রাখে। তার হাসিমাখা মুখ, নম্রসুরে কথা সবাইকে মুগ্ধ করে। মানুষ হিসেবে জম্মানোর সার্থকতা বোধ হয় এখানেই।
কিন্তু পক্ষান্তরে যদি আমরা অতীতের দিকে লক্ষ্য করি ছাত্রনেতা মানেই মানুষের মাঝে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে, সাধারণ মানুষ খুব স্বাভাবিক ভাবে যে মেনে নেয় তা কিন্তু নয়। কিন্তু শোভন ধীরে ধীরে তার অস্তিত্ব জানান দিয়ে সবকিছুকে পিছনে ফেলে দূর্বার গতিতে শুধু এগিয়েই যান নাই সকলের মন জয় করেছেন।
করোনাকালিন সময়ে অক্সিজেন সিলিন্ডার হাতে কিংবা অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিতরণে অথবা হাসপাতালের বিছানায় শ্বাসকষ্টে কাতরাতে থাকা মৃত্যু পথ যাত্রী করোনা রোগীর পাশে তার শীতল হাতের স্পর্শ আশিবাদ হয়ে ধরা দিয়েছে তার জীবনে। ছাত্রনেতার ধরন পাল্টে দিয়েছে তার মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান, ভূমিদস্যু ও চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীকে লাল কার্ড প্রদর্শন, সামাজিক মূল্যবোধ তৈরী, গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা ও নিজেকে মানবিক মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে।
আগামী ৫ই জুন আসন্ন সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন, আর এই নির্বাচনে তারুন্যের নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাতে শাহাদাৎ হোসেন শোভন এগিয়ে এসেছে তরুনদের প্রতিনিধিত্ব করতে। তার সদর উপজেলাকে নিয়ে ভাবনা সত্যিকার অর্থে প্রশংসার দাবি রাখে। স্মার্ট ও মডেল সদর উপজেলা বির্নিমানের পাশাপাশি নারী ও শিশুর সুরক্ষা বান্ধব সদর উপজেলা, জবাবদিহিতা মূলক ও দুর্নীতিমুক্ত সদর উপজেলা, প্রবাসী কল্যান ও বেকারত্ব ঘোচাতে কর্মসংস্হানের সুযোগ সৃষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে কমিউনিটি ক্লিনিক গুলোর চিকিৎসা সেবা চালু এছাড়াও যুগান্তকারী অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছে তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায়। যা সাধারণ মানুষ গভীর ভাবে উপলব্ধি করতে পেরেছে এই তরুন হয়তো বদলে দিতে পারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষের ভাগ্যের চাকা। তাই তো আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলে মিলে এক সুরে গায়ছে শোভনের জয়গান। নির্বাচন প্রচারণার প্রথম দিকে যদিও অনেকেই ভেবেছে এত অল্প বয়সের একজন জনপ্রতিনিধি হওয়ার চেয়ে সিনিয়র কেউ একজন হলে ভালো হয়। এই ধারনাকে শাহাদাৎ হোসেন শোভন মিথ্যা প্রমানিত করেছেন তার কর্মগুনে। ছাত্রনেতা থেকে সোজা জনতার নেতা, রাস্তাটা খুব সহজ ছিলো না শোভনের জন্য, ঘাত প্রতিঘাত জয় করতে হয়েছে অনেক। ব্যাপারটা খুব সহজ ছিল না প্রথম দিকে সিনিয়রদের কাছে।
এমন কোন সকাল নেই, এমন কোন রাত নেই, এমন কোন পাড়া মহল্লা অলিগলি মাঠ ঘাট নেই যে তিনি চষে বেড়াননি সাধারণ মানুষের দ্বারগোড়ায়। মানুষের মনের স্পন্দন বুঝতে পেরে তিনি হয়ে উঠেন আপামর জনতার শোভন। সাধারণ মানুষ ও তাকে গ্রহন করেছে সাদরে তার প্রমান হয়ত তিনি পাবেন ৫ই জুন তার বরাদ্দকৃত প্রতীক আনারস মার্কায় ভোটদানের মাধ্যমে। আশা করা যায় বিপুল ভোটে জয় যুক্ত হয়ে জয়ের মাল্য শাহাদাৎ হোসেন শোভনের অপেক্ষায়।