ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ নবীনগরে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও মহড়া অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত তারাবী নামাজের টাকা নিয়ে সংর্ঘষ, আহত ১৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আ.লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদ উপলক্ষ্যে সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পেল ঈদ-পোশাক সরাইলে শহীদ পরিবারের পাশে এনসিপি’র যুগ্ম আহবায়ক আশরাফ উদ্দিন মাহদি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিপিএফ’র মাসিক সভা অনুষ্ঠিত শেখ মুজিবকে স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করে ফেসবুকে পোস্ট, এসিল্যান্ডকে অব্যাহতি বন্দিদের ইফতারে ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারা কর্তৃপক্ষ

আনন্দ ভ্রমণে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল শিশু নাহিদা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৯:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২ ১৬৬ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এখনো ঈদের আনন্দ চারিদিকে। শিশু নাহিদা (০৪) ও এই আনন্দের বাহিরে নয়। এরই ধারাবাহিকতায় আনন্দ ভ্রমণ করতে ফুফু মারূফা বেগমের সাথে আনন্দ ভ্রমণে বের হয়েছিল নাহিদা। এক ঘন্টা পরই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল নাহিদা। নাহিদা সরাইলের কালীকচ্ছ ইউনিয়নের চাকসার গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইলের ধর্মতীর্থ মিনি কক্সবাজার এলাকায় যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার (চট্র-মোট্রো-১৩-০৩৬৫) চাপায় প্রাণ হারায় নাহিদা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঈদের দিন গত মঙ্গলবার থেকেই ঈদ আনন্দে মিনি কক্সবাজার খ্যাত ধর্মতীর্থ এলাকায় ছিল মানুষের ঢল। সেখানে মানুষের স্রোত থামেনি এখনো। গতকাল ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুফু মারূফা ও চাচাত বোনদের সাথে ধর্মতীর্থ এলাকায় ভ্রমণ করতে বের হয় নাহিদা। অটোরিকশায় করে তারা ৩-৪ জন যাচ্ছে। হঠাৎ তাদের বহনকারী অটোরিকশাটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয় দ্রূত গতির যাত্রীবাহী একটি প্রাইভেটকার (এলিয়ন)। রিকশা থেকে নাহিদাসহ সকলেই ছিটকে পড়ে সড়কে। ঘটনার পর দ্রূত গতিতে চলে যায় প্রাইভেটকারটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাহিদাকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে জনতা ধাওয়া করে চালক জিশুসহ ঘাতক প্রাইভেটকারটি আটক করেছেন। পুলিশের কাছে লিখিত দিয়ে রাত দেড়টার পর ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করেন নিহতের লাশ। নিহত শিশুর স্বজনরা জানায়, নাহিদার বাবা আক্তার ফার্ণিশার্স মিস্ত্রি। তারা দুই বোন। নাহিদাই বড়। গত ৩-৪ মাস আগে স্বামীর সাথে রাগ করে চলে গেছেন নাহিদার মাতা ফাতেমা বেগম। গত ৪ মাস ধরে মায়ের আদর যত্ন থেকে বঞ্চিত শিশু নাহিদার আকস্মিক নির্মম মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না স্বজনরা। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশাটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহত শিশুর দাদা উজ্জল মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

মাহবুব খান বাবুল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

আনন্দ ভ্রমণে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল শিশু নাহিদা

আপডেট সময় : ০৭:৫৯:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ মে ২০২২

এখনো ঈদের আনন্দ চারিদিকে। শিশু নাহিদা (০৪) ও এই আনন্দের বাহিরে নয়। এরই ধারাবাহিকতায় আনন্দ ভ্রমণ করতে ফুফু মারূফা বেগমের সাথে আনন্দ ভ্রমণে বের হয়েছিল নাহিদা। এক ঘন্টা পরই লাশ হয়ে বাড়ি ফিরল নাহিদা। নাহিদা সরাইলের কালীকচ্ছ ইউনিয়নের চাকসার গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইলের ধর্মতীর্থ মিনি কক্সবাজার এলাকায় যাত্রীবাহী প্রাইভেটকার (চট্র-মোট্রো-১৩-০৩৬৫) চাপায় প্রাণ হারায় নাহিদা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঈদের দিন গত মঙ্গলবার থেকেই ঈদ আনন্দে মিনি কক্সবাজার খ্যাত ধর্মতীর্থ এলাকায় ছিল মানুষের ঢল। সেখানে মানুষের স্রোত থামেনি এখনো। গতকাল ৫ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুফু মারূফা ও চাচাত বোনদের সাথে ধর্মতীর্থ এলাকায় ভ্রমণ করতে বের হয় নাহিদা। অটোরিকশায় করে তারা ৩-৪ জন যাচ্ছে। হঠাৎ তাদের বহনকারী অটোরিকশাটিকে পেছনের দিক থেকে ধাক্কা দেয় দ্রূত গতির যাত্রীবাহী একটি প্রাইভেটকার (এলিয়ন)। রিকশা থেকে নাহিদাসহ সকলেই ছিটকে পড়ে সড়কে। ঘটনার পর দ্রূত গতিতে চলে যায় প্রাইভেটকারটি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাহিদাকে সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তবে জনতা ধাওয়া করে চালক জিশুসহ ঘাতক প্রাইভেটকারটি আটক করেছেন। পুলিশের কাছে লিখিত দিয়ে রাত দেড়টার পর ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করেন নিহতের লাশ। নিহত শিশুর স্বজনরা জানায়, নাহিদার বাবা আক্তার ফার্ণিশার্স মিস্ত্রি। তারা দুই বোন। নাহিদাই বড়। গত ৩-৪ মাস আগে স্বামীর সাথে রাগ করে চলে গেছেন নাহিদার মাতা ফাতেমা বেগম। গত ৪ মাস ধরে মায়ের আদর যত্ন থেকে বঞ্চিত শিশু নাহিদার আকস্মিক নির্মম মৃত্যু কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছে না স্বজনরা। সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাইভেটকার ও অটোরিকশাটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। নিহত শিশুর দাদা উজ্জল মিয়া বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন।

মাহবুব খান বাবুল