ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বেগম জিয়ার সুস্থতা কামনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জিয়া পরিষদের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষকাল ২০২৫ আওয়ামী লীগ আসন ও টাকার অফার করেছিল, আপোষ করিনি: নবীনগরে নুরুল হক নূর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন দিবস ২০২৫ পালিত গান গাওয়া বন্ধ করে দেওয়া সেই অন্ধ হেলালের পরিবারের পাশে ‘ভাব বৈঠকী’ মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংস্থা এআরডি- ব্রাহ্মণবাড়িয়া’র উদ্যোগে মানববন্ধন ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত আখাউড়ায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ইউনিভার্সেল মেডিকেলের উদ্যোগে Top Ten Genius সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত কনিকাড়া ‌উচ্চ বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য আহসানুজ্জামান গেন্দু চৌধুরীর ‌ইন্তেকাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডিপিএফ’র মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

সরাইলে সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি! সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষের ‘না’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২ ৩১৭ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরাইলের অরূয়াইল বাজারের ব্যস্ততম সড়কের মাঝখানে বসানো আছে বিদ্যুতের দুটি খুঁটি। খুঁটি দুটির কারণে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে সরূ হয়ে আছে মূল সড়কটি। ফলে মূল বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না কোন ধরণের যানবাহন। ব্যবসায়িদের মালামাল আনা নেওয়ায় অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে। রোগী ও প্রতিবন্ধিদের দূর্ভোগ সীমাহীন। গত ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে খুঁটি দুটি স্থানীয় বাসিন্ধাদের হাজারো কষ্টের কারণ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে জানতে চাইলে খুঁটি সরিয়ে নিতে ‘না’ বলেছেন পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি। সরজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, অরূয়াইল বাজারটি গোটা ইউনিয়নের মধ্যে সর্ব বৃহৎ। অরূয়াইলের ৮-৯ টি গ্রাম ছাড়াও পাকশিমুল ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্ধা ও নাসিরনগর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের লোকজনও আসেন এ বাজারে। অরূয়াইল সদরে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের অফিস, একাধিক ব্যাংক, একটি কলেজ, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, একাধিক মসজিদ ও মাদরাসা। বিশেষ করে সপ্তাহের রবিবার ও বৃহস্পতিবার হাটবার হওয়ায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বাজারে থাকে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। অত্র এলাকার অত্যন্ত গুরূত্বপূর্ণ এই বাজারটির পরিষদ সংলগ্ন স্থানে প্রধান সড়কের মাঝখানে বসানো আছে পল্লী বিদ্যুতের দুটি খুঁটি। ফলে সড়কের প্রস’ কমে অর্ধেক হয়ে গেছে। মূল বাজারের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না কোন ধরণের যানবাহন। এমনকি কোন ধরণের অটোরিকশাও প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ক্রেতা বিক্রেতা ও পথচারিরা চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আশঙ্কাজনক রোগী বা প্রতিবন্ধিদের সড়কের এ জায়গা পার করতে হয় কোলে কাকে করে। বাজারের ভেতরের সকল ব্যবসায়ির মালামাল কলেজ মোড় থেকে কাঁধে করে আনতে হয়। এতে করে অধিক সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। একাধিক মটরবাইক দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। খুঁটি দুটি শুধু বাজারের ব্যবসায়ি নয় গত ২০ বছর ধরে অত্র এলাকার মানুষের জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুক্তভোগীদের দাবী ও চিৎকারে একেবারে নীরব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাজারের ব্যবসায়ি জাবেদ আল হাসান বলেন, খুঁটি দুটির জন্য গাড়ি প্রবেশ করে না। পণ্য পরিবহনে খুবই কষ্টে আছি। উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পরও কেন সড়কের মাঝ থেকে খুঁটি গুলো সরানো হচ্ছে না। বুঝতে পারছি না। জনস্বার্থে জরূরী ভিত্তিতে খুঁটি গুলো সরানোর জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তালেব খুঁটি গুলি মানুষের গলার কাটা এ কথার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সংশ্লিষ্টদের বারবার বলার পরও কি উদ্যেশ্যে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? দয়া খুঁটি গুলো সরিয়ে মানুষকে শ্বাস ফেলে চলতে দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাব জোনাল অফিস অরূয়াইল শাখার ইনচার্জ আল আমিন বলেন, খুঁটি গুলো সরানো যাবে না। উচ্চ আদালতের নির্দেশের কথা বলার পর তিনি প্রতিবেদককে বলেন, এ গুলো সরানো আপনারও দায়িত্ব। শুধু রিপোর্ট করলেই হবে না। দায়িত্ব আপনাকেও নিতে হবে। আপনি আসেন। আমাদেরকে সহযোগিতা করেন।

মাহবুব খান বাবুল

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সরাইলে সড়কের মাঝখানে বিদ্যুতের খুঁটি! সরিয়ে নিতে কর্তৃপক্ষের ‘না’

আপডেট সময় : ১০:০৫:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২

সরাইলের অরূয়াইল বাজারের ব্যস্ততম সড়কের মাঝখানে বসানো আছে বিদ্যুতের দুটি খুঁটি। খুঁটি দুটির কারণে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে সরূ হয়ে আছে মূল সড়কটি। ফলে মূল বাজারে প্রবেশ করতে পারছে না কোন ধরণের যানবাহন। ব্যবসায়িদের মালামাল আনা নেওয়ায় অতিরিক্ত অর্থ খরচ হচ্ছে। রোগী ও প্রতিবন্ধিদের দূর্ভোগ সীমাহীন। গত ২০ বছরেরও অধিক সময় ধরে খুঁটি দুটি স্থানীয় বাসিন্ধাদের হাজারো কষ্টের কারণ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব। সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার মুঠোফোনে জানতে চাইলে খুঁটি সরিয়ে নিতে ‘না’ বলেছেন পল্লী বিদ্যুতের দায়িত্বশীল এক ব্যক্তি। সরজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানায়, অরূয়াইল বাজারটি গোটা ইউনিয়নের মধ্যে সর্ব বৃহৎ। অরূয়াইলের ৮-৯ টি গ্রাম ছাড়াও পাকশিমুল ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামের অধিকাংশ বাসিন্ধা ও নাসিরনগর উপজেলার কয়েকটি গ্রামের লোকজনও আসেন এ বাজারে। অরূয়াইল সদরে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের অফিস, একাধিক ব্যাংক, একটি কলেজ, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, একাধিক মসজিদ ও মাদরাসা। বিশেষ করে সপ্তাহের রবিবার ও বৃহস্পতিবার হাটবার হওয়ায় সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বাজারে থাকে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। অত্র এলাকার অত্যন্ত গুরূত্বপূর্ণ এই বাজারটির পরিষদ সংলগ্ন স্থানে প্রধান সড়কের মাঝখানে বসানো আছে পল্লী বিদ্যুতের দুটি খুঁটি। ফলে সড়কের প্রস’ কমে অর্ধেক হয়ে গেছে। মূল বাজারের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে না কোন ধরণের যানবাহন। এমনকি কোন ধরণের অটোরিকশাও প্রবেশ করতে পারে না। ফলে ক্রেতা বিক্রেতা ও পথচারিরা চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। আশঙ্কাজনক রোগী বা প্রতিবন্ধিদের সড়কের এ জায়গা পার করতে হয় কোলে কাকে করে। বাজারের ভেতরের সকল ব্যবসায়ির মালামাল কলেজ মোড় থেকে কাঁধে করে আনতে হয়। এতে করে অধিক সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। একাধিক মটরবাইক দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। খুঁটি দুটি শুধু বাজারের ব্যবসায়ি নয় গত ২০ বছর ধরে অত্র এলাকার মানুষের জন্য গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভুক্তভোগীদের দাবী ও চিৎকারে একেবারে নীরব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বাজারের ব্যবসায়ি জাবেদ আল হাসান বলেন, খুঁটি দুটির জন্য গাড়ি প্রবেশ করে না। পণ্য পরিবহনে খুবই কষ্টে আছি। উচ্চ আদালতের নির্দেশ থাকার পরও কেন সড়কের মাঝ থেকে খুঁটি গুলো সরানো হচ্ছে না। বুঝতে পারছি না। জনস্বার্থে জরূরী ভিত্তিতে খুঁটি গুলো সরানোর জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। বাজার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তালেব খুঁটি গুলি মানুষের গলার কাটা এ কথার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সংশ্লিষ্টদের বারবার বলার পরও কি উদ্যেশ্যে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না? দয়া খুঁটি গুলো সরিয়ে মানুষকে শ্বাস ফেলে চলতে দেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাব জোনাল অফিস অরূয়াইল শাখার ইনচার্জ আল আমিন বলেন, খুঁটি গুলো সরানো যাবে না। উচ্চ আদালতের নির্দেশের কথা বলার পর তিনি প্রতিবেদককে বলেন, এ গুলো সরানো আপনারও দায়িত্ব। শুধু রিপোর্ট করলেই হবে না। দায়িত্ব আপনাকেও নিতে হবে। আপনি আসেন। আমাদেরকে সহযোগিতা করেন।

মাহবুব খান বাবুল