মামলা থেকে বাঁচতে নাটক সাজালো কোরবান আলী!
- আপডেট সময় : ০৯:১৩:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫ ৫৪৬ বার পড়া হয়েছে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নে চাচাতো ভাইয়ের লাগাতার হয়রানি ও হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মহিন উদ্দিন ও তার পরিবার। মহিন উদ্দিনের মেয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্যক্ত হচ্ছিলেন তার চাচাতো ভাই কোরবান আলীর ছেলে রাব্বির (২২) দ্বারা। ঘটনার চূড়ান্ত পর্ব ঘটে ২০২৪ সালের ১৯ মার্চ, যখন রাব্বি তাকে শারীরিকভাবে আঘাত করে। এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী-২০০৩ ও যৌন নিপীড়ন, পথরোধ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী দীপালী বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার ওয়ারেন্ট জারির পর রাব্বি বিদেশে পালিয়ে যায়। এরপর থেকেই পরিবারটি চরম হুমকি ও নির্যাতনের শিকার হতে থাকে। মামলা তুলে নেওয়ার জন্য শুরু হয় চাপ, দেওয়া হয় হত্যার হুমকি। এরই ধারাবাহিকতায় বাদী দীপালী বেগম বাধ্য হয়ে আরেকটি মামলা করেন কোরবান আলী ও তার স্ত্রী লিপি বেগমের বিরুদ্ধে।
পরিবারের নিরাপত্তার স্বার্থে দীপালী বেগম পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতেও পৃথক মামলা দায়ের করেন। এ নিয়ে আবারও নিরাপত্তার জন্য মামলার আশ্রয় নিয়েছে নির্যাতিত মহিন উদ্দিনের পরিবার।
এদিকে মামলা থেকে বাঁচতে কোরবান আলী মহিন উদ্দিনের বোনের নামে পাল্টা মামলা করেন। নাটকীয়ভাবে তিনি নিজেই ব্লেড দিয়ে নিজের শরীর কেটে ২৫ জুন ২০২৫ ইং তারিখে সদর মডেল থানায় একটি মারধরের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় এক বৃদ্ধ আব্দুর রহমানকে, যিনি এলাকাবাসীর মতে চলাফেরা করতেই অক্ষম।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, কোরবান আলী একজন কুচক্রী প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই পরিবারটিকে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। নিজেরা নিজেরা আহত হয়ে নাটক সাজিয়ে আদালতের ভুল ব্যবহার করছেন বলে দাবি এলাকাবাসীর।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফ্ফর হোসেন জানান, ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উভয় পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই পারিবারিক বিরোধ চলছিল। ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চলছে, এবং তদন্ত কর্মকর্তার প্রতিবেদন অনুযায়ী চূড়ান্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।














