Dhaka 1:13 pm, Friday, 18 October 2024
News Title :
ভাদুঘরে প্রবাসীর বাড়িতে তালা কেটে দুর্ধর্ষ চুরির অভিযোগ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস পালিত তরী বাংলাদেশ এর উদ্যোগে জনস্বার্থে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ ঢাকাস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সমিতির ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ডায়াবেটিক সমিতির কমিটি গঠন ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের পক্ষ থেকে সাবেক মন্ত্রী হারুন আল রশিদকে ফুলেল শুভেচ্ছা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্ব শিশু দিবসে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নারী ও যুব অধিকার অর্জনে সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় সেবা প্রদানকারীদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভূয়া সাংবাদিক ও অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে কমিটি গঠন প্রাইম বাংলা নিউজ: জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল

জীবন দিয়েই পায়ের ব্যাথ্য থেকে মুক্তি নিলেন সরাইলের বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার

  • Reporter Name
  • Update Time : 09:11:20 pm, Monday, 30 May 2022
  • 185 Time View

বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার (৬০)। বাড়ি সরাইল উপজেলার অরূয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে। গত ৪০ বছর ধরে ডান পা পঁচা রোগে ভুগছিলেন সাত্তার। ঔষধ সেবন করলে সাময়িক সময় ব্যাথা থাকে না। পরে আবারও দীর্ঘ স্থায়ী ব্যাথা। কোন ঔষধেই উপশম হচ্ছিল না পঁচন রোগটি। এক দিকে বয়সের ভারে ন্যুজ্ব। অপরদিকে পায়ের অসহনীয় ব্যাথা তার জীবনকে বিষিয়ে তুলেছিল। গত ২৯ মে রোববার রাতের যে কোন সময় নিজের গায়ের পাঞ্জাবি ছিড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের জীবন দিয়েই পায়ের ব্যাথা থেকে মুক্তি নিলেন সাত্তার। পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃদ্ধ সাত্তারের একমাত্র ছেলে রূবেল। তিন কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন। আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী ছেলে রূবেলের সাথে থাকেন নরসিংদীতে। গ্রামের বাড়ি একেবারে ফাঁকা। তারা মাঝে মধ্যে গ্রামে আসেন। আর গত ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সাত্তার পায়ে পঁচন রোগে ভুগছেন। ছেলে রূবেল পিতাকে সুস্থ্য করার জন্য অনেক চেষ্টা করছেন। চিকিৎসক দেখিয়েছেন। ঔষধ খাইয়েছেন। কিন্তু কোন ঔষধেই ওই পঁচন রোগটির উপশম হচ্ছিল না। এক সময় চিকিৎসক ও চিকিৎসার প্রতি অনীহা এসে গেল সাত্তারের। ব্যাথায় চিৎকার করলে ছেলে ঔষধ এনে দেয়। সেবনের পর স্বল্প সময়ের জন্য ব্যাথা সামান্য কমে। পরে আবার বেড়ে যায়। এক সময় পঁচন রোগ নিয়ে অনেকটা অধৈর্য্য হয়ে পড়েন সাত্তার। তিনি মানসিকভাবেও অসুস্থ্য হয়ে যান। গত কয়েক দিন আগে সাত্তারের পায়ে ব্যাথা শুরূ হয়। ছেলে রূবেল নরসিংদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা চলছিল। গত ২৯ মে রোববার কাউকে না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান সাত্তার। রাতে চলে আসেন মেঘনা নদীর তীর ঘেষা গ্রামের বাড়ি রাজাপুরে। আজ সোমবার ভোরে নদীর পাড়ে একটি বাঁশে আব্দুস সাত্তারকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে দুবাজাইল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এসে সাত্তারের লাশ উদ্ধার করেন। ওই ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.এম মনিরূজ্জামান চৌধুরী বলেন, শুনেছি সাত্তার মানসিক রোগী ছিলেন। উনার এক পঁচন দেখেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

মাহবুব খান বাবুল

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভাদুঘরে প্রবাসীর বাড়িতে তালা কেটে দুর্ধর্ষ চুরির অভিযোগ

fapjunk
© All rights reserved ©
Theme Developed BY XYZ IT SOLUTION

জীবন দিয়েই পায়ের ব্যাথ্য থেকে মুক্তি নিলেন সরাইলের বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার

Update Time : 09:11:20 pm, Monday, 30 May 2022

বৃদ্ধ আব্দুস সাত্তার (৬০)। বাড়ি সরাইল উপজেলার অরূয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে। গত ৪০ বছর ধরে ডান পা পঁচা রোগে ভুগছিলেন সাত্তার। ঔষধ সেবন করলে সাময়িক সময় ব্যাথা থাকে না। পরে আবারও দীর্ঘ স্থায়ী ব্যাথা। কোন ঔষধেই উপশম হচ্ছিল না পঁচন রোগটি। এক দিকে বয়সের ভারে ন্যুজ্ব। অপরদিকে পায়ের অসহনীয় ব্যাথা তার জীবনকে বিষিয়ে তুলেছিল। গত ২৯ মে রোববার রাতের যে কোন সময় নিজের গায়ের পাঞ্জাবি ছিড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে নিজের জীবন দিয়েই পায়ের ব্যাথা থেকে মুক্তি নিলেন সাত্তার। পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃদ্ধ সাত্তারের একমাত্র ছেলে রূবেল। তিন কন্যাকে বিয়ে দিয়েছেন। আব্দুস সাত্তার ও তার স্ত্রী ছেলে রূবেলের সাথে থাকেন নরসিংদীতে। গ্রামের বাড়ি একেবারে ফাঁকা। তারা মাঝে মধ্যে গ্রামে আসেন। আর গত ৪০ বছরেরও অধিক সময় ধরে সাত্তার পায়ে পঁচন রোগে ভুগছেন। ছেলে রূবেল পিতাকে সুস্থ্য করার জন্য অনেক চেষ্টা করছেন। চিকিৎসক দেখিয়েছেন। ঔষধ খাইয়েছেন। কিন্তু কোন ঔষধেই ওই পঁচন রোগটির উপশম হচ্ছিল না। এক সময় চিকিৎসক ও চিকিৎসার প্রতি অনীহা এসে গেল সাত্তারের। ব্যাথায় চিৎকার করলে ছেলে ঔষধ এনে দেয়। সেবনের পর স্বল্প সময়ের জন্য ব্যাথা সামান্য কমে। পরে আবার বেড়ে যায়। এক সময় পঁচন রোগ নিয়ে অনেকটা অধৈর্য্য হয়ে পড়েন সাত্তার। তিনি মানসিকভাবেও অসুস্থ্য হয়ে যান। গত কয়েক দিন আগে সাত্তারের পায়ে ব্যাথা শুরূ হয়। ছেলে রূবেল নরসিংদী হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসা চলছিল। গত ২৯ মে রোববার কাউকে না বলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান সাত্তার। রাতে চলে আসেন মেঘনা নদীর তীর ঘেষা গ্রামের বাড়ি রাজাপুরে। আজ সোমবার ভোরে নদীর পাড়ে একটি বাঁশে আব্দুস সাত্তারকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে স্থানীয় লোকজন। খবর পেয়ে দুবাজাইল নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ এসে সাত্তারের লাশ উদ্ধার করেন। ওই ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.এম মনিরূজ্জামান চৌধুরী বলেন, শুনেছি সাত্তার মানসিক রোগী ছিলেন। উনার এক পঁচন দেখেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছি।

মাহবুব খান বাবুল