সরাইলের কৃতি সন্তান, দেশ বরেণ্য সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক, পিআইবি’র সাবেক চেয়ারম্যান ও সরাইল প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য হাবিবুর রহমান মিলনের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আজ মঙ্গলবার সরাইল প্রেসক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে স্মরণসভা। প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল। সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খানের সঞ্চালনায় স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য রাখেন-সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, ত্রিতাল সংগীত নিকেতনের অধ্যক্ষ সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য মোহাম্মদ মাসুদ, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. জুলকার নাঈন, সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, অর্থসম্পাদক আব্দুল করিম, সাহিত্য সম্পাদক জহিরূল ইসলাম রিপন, সদস্য মো. মুরাদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যায়নরত সরাইলের সন্তান মৃধা এস.এম কানজুল কারাম ও সাংবাদিক দীপক কুমার দেবনাথ। বক্তারা বলেন, সরাইলের মানুষজন সকালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকাটি হাতে নিয়েই হাবিবুর রহমান মিলনের লেখা খুঁজতেন। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে সরাইল প্রেসক্লাবের উদ্বোধনকারী হাবিবুর রহমান মিলন ছিলেন এই দেশের সাংবাদিকতা জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র। সারা জীবন দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণেই কাজ করেছেন। প্রথমসারীর এই কলামিষ্ট দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ও চর্চায় অন্যতম ভূমিকা পালন করেছেন। দূর্নীতিবাজ ও অসৎ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য মিলন ভাই ছিলেন আতঙ্ক। সৎ স্বচ্ছ ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার ভিত্তি গড়তে কাজ করেছেন আজীবন। ২১ শে পদক পাওয়া মিলনকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন দিতে চেয়েছিলেন। অর্থবহ অনর্গল ও শ্রূতিমধুর বক্তব্য দ্বারা সকল শ্রেণির মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। তিনি ছিলেন দেশ ও জাতির অনন্য সম্পদ। হাবিবুর রহমানের মিলনের অসাধারণ মেধা ও জ্ঞানই যোগ্যতম জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করেছিল। তিনি ছিলেন সরাইলবাসীর গর্বের ধন। উনার গৌরবময় কর্মজীবন পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষে গুণী মানুষের স্বরণসভার আয়োজন করায় সরাইল প্রেসক্লাবকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বক্তারা।
মাহবুব খান বাবুল