Home Blog

দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান

’দেশকে ভালোবাসবো, নীতির পথে চলবো’ এই শ্লোগান নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্যোগে সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা শিক্ষা অফিসের কার্যালয়ে মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ জুলফিকার হোসেন। জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি কবি আব্দুল মান্নান সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন কুমিল্লা সমন্বিত কার্যালয়ে়র সহকারি পরিচালক মোঃ মাসুম আলী ও উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইমরান খান। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের বক্তৃতা করেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সহ-সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, কসবা উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানে জেলার ৯টি উপজেলার ১৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে এক লক্ষ ৮ হাজার টাকা মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির মেয়াদ পূর্তির চেক প্রদান

ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির গ্রাহক ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাকাইট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাকিয়া আক্তার শিল্পী বীমার মেয়াদ পূর্তির ৬ লক্ষ ৪৯ হাজার ১৯৭ টাকার চেক পেয়েছেন। বৃহস্পতিবার ডেলটা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানির ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টিএ রোডস্থ এজেন্সি অফিসে এই চেক প্রদান করা হয়।
এই উপলক্ষে এজেন্সি অফিসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো বাহারুল ইসলাম মোল্লা। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু। এজেন্সি অফিসের ইনচার্জ মোহাম্মদ আরজুর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন গ্রাহকের স্বামী লালপুর এস এস দাস চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামাল উদ্দিন, কোম্পানীর ব্রাঞ্চ ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, ইউনিট ম্যানেজার আয়ে়শা আহমেদ লিজা প্রমুখ।

bonus veren siteler
deneme bonusu veren siteler
casino siteleri
deneme bonusu
deneme bonusu veren siteler

সরাইলের শাহজাদাপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে টাকা ছাড়া মিলে না ঔষধ!

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের শাহজাদাপুর উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে কাগজেপত্রে স্বাস্থ্য বিভাগ ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ রয়েছে। তবে বাস্তবে দীর্ঘদিন ধরে সেখানে নেই কোন মেডিকেল অফিসার, চাকমো, ফার্মাসিস্ট ও এমএলএসএস। সপ্তাহে ২-৩ দিন সেখানে বসে ঔষধ বিতরণ করেন অফিস সহায়ক প্রণেষ কুমার। পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) দিলরূবা আক্তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন। রোগীদের অভিযোগ চিকিৎসক তো নেই-ই সেখানে টাকা ছাড়া মিলে না কোন সরকারি ঔষধ। আগে দিতে হতো ২০ টাকা। এরপর ৩০ এখন দিতে হচ্ছে ৪০ টাকা। তবে দায়িত্বে নিয়োজিতরা সরকারি ঔষধ দিয়ে টাকা নেয়ার বিষয়টি মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন, সরকারি ঔষধ ফ্রি। টাকা নেয়ার প্রশ্নই আসে না। প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নিব।

সরজমিনে দেখা যায়, গত রোববার ঘড়ির কাটায় সকাল ১০টা ৫ মিনিট। উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আশপাশের গ্রামের থেকে শিশুদের নিয়ে ২০-২৫ জন মহিলা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। একজন একজন করে ভেতরে যাচ্ছেন। কিছুক্ষণ পর হাতে করে সিরাপ ও ট্যাবলেট নিয়ে বেড়িয়ে আসছেন। কেমন চিকিৎসা চলছে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ৩-৪ জন মহিলা বলতে থাকেন, আমরা অনেক কষ্ট করে এখানে আসি। শিশু ও আমাদের সমস্যার চিকিৎসার উদ্যেশ্যে আসা। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে এখানে কোন মেডিকেল অফিসার নেই । ঔষধ দিতেন একজন ফার্মাসিস্ট তিনিও আসেন না। চাকমো নেই। নেই এমএলএসএসও। বলতে গেলে স্বাস্থ্য বিভাগের কোন লোকই নেই। প্রাণেষ নামের একজন লোক আসেন মাঝে মধ্যে। কয়েকটা টাকা নিয়ে তিনি কিছু ঔষধ দেন। আর ওদিকে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের একজন মহিলা বসেন। মা ও শিশুদের দেখে তিনি সিরাপ আর ট্যাবলেট দেন। এর জন্য তিনি আগে আমাদের কাছ থেকে নিতেন ২০ টাকা।

ইদানিং তিনি ৪০ টাকার কম দিলে ঔষধ দেন না। সরকার নাকি আমাদেরকে বিনামূল্যে ঔষধ দিয়েছেন। তাহলে আবার টাকা কেন? জনৈক মহিলা বলেন, আমার দুই বাচ্চার ঔষধের জন্য ৮০ টাকা দিতে হয়েছে। কোথায় বলব? কার কাছে বলব? এদের ক্ষমতা অনেক। আমাদেরকে উল্টো বিপদে ফেলে দিবে। ওই উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা (এফডব্লিউভি) দিলরূবা আক্তার বলেন, টাকা নেয়ার অভিযোগটি মিথ্যা। বেশ কিছু দিন ঔষধের সাপ্লাই ছিল না। গত কয়েকদিন আগে ঔষধ আসছে। আমি স্বচ্ছতার সাথে দায়িত্ব পালন করছি। স্বাস্থ্য বিভাগের একজন মাঝেমধ্যে আসেন। শাহজাদাপুর ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক মো. আকিজ উদ্দিন বলেন, এফডব্লিউভি মা ও শিশুদের স্বাস্থ্য সেবা দিয়ে থাকেন। সরকারি ঔষধ দিয়ে টাকা নেয়ার কোন বিধান নেই। এমনটা হয়ে থাকলে অপরাধ। সরাইল উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা. তানজিদ তামান্না দিনা বলেন, সেখানে শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের ঔষধ আছে। ঔষধের বিনিময়ে টাকা নেয়া মোটেও বিধি সম্মত নয়। সরকারি ঔষধ ক্রয়-বিক্রয় দুটোই দন্ডনীয় অপরাধ। প্রমাণ পেলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস পালিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে। এউপলক্ষে আজ রবিবার সকালে বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ,আওয়ামীলীগ সহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানায়। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গনে প্রতিবন্ধীদের মধ্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র ,আ,ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপসি’ত ছিলেন জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান ,পুলিশ সুপার শাখাওয়াত হোসেন। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও ড্রিম ফর ডিসএভিলিটি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠানে শতাধিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রধান অতিথি বলেন বঙ্গবন্ধু যখন স্কুলে ছিলেন তখন থেকেই সমাজের দুস্থ ও আসহায় মোনুষের প্রতি তার সহানুভূতি ও ভালবাসা ছিল। সবার অজান্তে তিনি দরিদ্র মানুষের পাশে থেকেছেন । এমনকি নিজের গায়ের চাঁদরটি ও বিলিয়ে দিয়েছেন। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তরুন প্রজন্মকে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হবার আহবান জানান।

এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র ,আ,ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। জেলা প্যশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ,পৌরমেয়র নায়ার কবির ,জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা,আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ,শিক্ষক সাংবাদিক ও শিশুরা উপসি’ত ছিলেন।

নবীনগরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ৯জনকে কারাদন্ড

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের জাফরাবাদ ও নতুনচর বালুমহালে নিয়মবহির্ভূতভাবে বালু উত্তোলন করায় ৯ জনকে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আটককৃত ৯ জনকে ২০দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম।
সরকার নির্ধারিত ড্রেজারের চেয়ে অধিক সংখ্যক ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে নদীর তীরকে ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে ফেলার অপরাধে এ শাস্তি প্রদান করা হয়। এসময় বালুমহালের ইজারাদারকে ইজারার শর্ত মেনে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।

সরাইলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মবার্ষিকী পালিত

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছেন। ১৭ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। সকাল ১০টায় শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর প্রতিকৃতিতে পুস্ফস্তবক অর্পণ করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন মঈন, উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামীলীগ, সরাইল সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও প্রতিনিধি প্রমূখ। পরে ইউএনও মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. মঈন উদ্দিন মঈন। সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. পারভেজ আহমেদ এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মো. আনোয়ার হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মো. মাহফুজ আলী, টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মো. শফিকুর রহমান প্রমূখ। শিশু দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে জাতির পিতার জীবন দর্শনের উপর আলোচনা সভা, আবৃত্তি, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। মসজিদসহ সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে দোয়া ও হাসপাতাল সমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন। এর আগে ১৬ মার্চ সন্ধ্যায় গুরূত্বপূর্ণ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আলোক সজ্জা করা হয়েছে।

একজন মানবিক মানুষ, দেওয়ান মারুফ–আবদুল মতিন শিপন।

সাদা মনের মানুষ, নিরহংকারী সদাহাস্যজ্বল যেই ভাবেই তাকে বিশ্লেষণ করি না কেন সবকিছুকে ছাপিয়ে তিনি একজন মানবিক মানুষ, আমাদের দেওয়ান মারুফ। একজন শিল্পপতি, ক্রীড়া অনুরাগী ব্যক্তিত্ব, শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতি অঙ্গনে সুপরিচিত মুখ দেওয়ান মারুফ ইতিমধ্যে তিতাস জনপদের মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। যশ প্রতিপত্তি তার কর্পোরেট বিকাশকে অপেক্ষা করে শুধু মাত্র মানুষের দুঃখ দূর্দশা কিছুটা হলেও লাগুব করার জন্য মানবিক কাজ গুলোতে তিনি সময় দেন, অর্থ ব্যয় করেন একটা ক্ষুদা দারিদ্র্য মুক্ত সুন্দর সমতার সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে। তিনি স্বপ্ন দেখেন আগামীর সম্ভবনাময় বাংলাদেশ বির্নিমানের কারিগর শিশুদেরকে নিয়ে। আমরা সকলেই জানি আজকের শিশু আগামীর বাংলাদেশ। এই বাণীতে তিনি মহিয়ান হয়ে অসহায় ছিন্নমূল শিশুদের শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নশীল জীবন দিতে নানা মুখী পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। শুধু শিশু নয়, আমরা সবাই জানি যুব সমাজ আজকে হুমকির মুখে মাদকের করালগ্রাসে। এই হিংস্র থাবায় মুখ তুবড়ে পড়ছে আজকের কিশোর, যৌবনে পা দেওয়া তরুন সমাজ। তিনি তা উপলব্ধি করে প্রতি নিয়ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ক্রীড়া সংস্থা এবং জেলা প্রশাসনের সাথে মিলিত হয়ে ক্রিকেট, হা ডু ডু,ফুটবল ইত্যাদি খেলার আয়োজন করেন।এছাড়াও এলাকা ভিত্তিক খেলাধুলা গুলোকে উৎসাহ প্রদান করে থাকেন।
যখনই শুনেন কেউ জাতীয় পর্যায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সুনাম অর্জন করেছেন তাদেরকেই ডেকে এনে প্রশংসা করেন,বুকে জড়িয়ে নেন পরম মমতায়।

এছাড়াও জেলার উদীয়মান শিল্পী কলাকৌশলী কবি সাহিত্যিক সকলের সাথে মিলে-মিশে নানান ভাবে তাঁর পৃষ্ঠপোষকতায় তিতাস জনপদকে সমৃদ্ধ করছেন।তিনি নিজেও লিখেছেন অসংখ্য গান,লিখেছেন কবিতা।এ বছর বই মেলায় প্রকাশ পেয়েছে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ”আমি তোমাদেরই একজন ” নামে কবিতার বই।তাঁর লেখা গানে, কবিতায় ফুটে উঠেছে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি,ঋতু বৈচিত্র্য মানুষ জীবন জীবিকা ও বিশেষ ভাবে ফুটে উঠেছে মানবিকতা অসহায় নিপীড়িত মানুষ কথা।

”সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই” এই বোধ শক্তি প্রবল ভাবে তাঁকে টানে,গভীর ভাবে তিনি বিশ্বাস করেন সৃষ্টিকর্তা ও সৃষ্টির রহস্যে ঘেরা মানব প্রকৃতি। তিনি প্রতি নিয়ত নিজেকে আবিস্কার করেন এক ভিন্ন ও মানুষের কল্যানে নিবেদিত প্রান হিসেবে।তিনি ভাবেন মানুষ হয়ে জম্মানোর সার্থকতা সেখানেই যারা দেশ ও দশের চিন্তা করে, নিজের জন্য বাঁচে না সকলের তরে বাঁচে।সকলের তরে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সন্তুষ্ট থাকে।

সত্যিকার অর্থে তিনিই মানুষ, তিনিই দেওয়ান মারুফ,তাঁকে যত্ন করে বাঁচিয়ে রাখা আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।

অসহায় তারাবানুকে ঘর নির্মাণ করে দিল বন্ধন

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
‘বন্ধন’ একটি সামাজিক সংগঠনের নাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের দেওড়া গ্রামের প্রবাসী ১৩ যুবকসহ বন্ধনের সদস্য সংখ্যা ৩৩ জন। সামাজিক কাজ ও মানবসেবাই সংগঠনটির উদ্যেশ্য। আস্তে আস্তে সেই লক্ষ বাস্তবায়ন করছেন তারা। সর্বশেষ গত শুক্রবার উপজেলার দেওড়া গ্রামের অসহায়, দুই প্রতিবন্ধি সন্তানের মা, গৃহহীন বৃদ্ধা তারাবানুকে (৬৫) একটি ঘর নির্মাণ করে দিয়ে আলোচনায় এখন বন্ধন। দীর্ঘ দুই বছরেরও অধিক সময় পর নতুন ঘর পেয়ে আনন্দিত তারাবানু। ঘরটিকে নিজের জন্য মসজিদ বলে শুকুর আদায় করছেন তারাবানু। বন্ধন ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, গ্রামের ৩৩ যুবকের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার নাম বন্ধন। ২০২০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে নিজেদের অর্থায়নেই চলছে সংগঠনটি। সমাজ, গ্রাম ও এলাকার অসহায় দরিদ্র লোকজনের নানা সমস্যায় এগিয়ে আসাই বন্ধনের কাজ।

সদস্যদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মানুষের সমস্যা সমাধানে সাধ্যমত সহায়তার হাত প্রসারিত করে আসছেন তারা। বৃদ্ধ তারাবানু। বাটপাড়া গ্রামের প্রয়াত মস্তু আলীর স্ত্রী তারাবানু। ৩ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জননী। বড় ছেলে আউশের সামান্য আয়েই কষ্টেশিষ্টে চলে ৭-৮ জনের পরিবার। এরমধ্যে দুই ছেলে মন মিয়া (৪০) ও সাগর (৩০) দু’জনই জন্মের পর থেকে প্রতিবন্ধি। পুত্রবধূসহ সন্তানদের নিয়ে জরাজীর্ণ পরিত্যাক্ত একটি ঘরে অনেক কষ্টে বসবাস করছিলেন। ঝড় বৃষ্টি যেত তাদের শরীরের উপর দিয়ে। একটি ঘরের জন্য বৃদ্ধ তারাবানু অনেকের কাছে ধরনা দিয়েছেন। আশ্বাস দিয়েছেন অনেকেই। কিন’ ঘর করে দেয়নি কেউ। অবশেষে তারাবানুসহ তার পরিবারের কষ্ট দূর করতে এগিয়ে আসে বন্ধন। প্রায় এক লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করে তারাবানুকে নতুন একটি ঘর নির্মাণ করে দিয়েছে বন্ধন। তারাবানুকে আর বৃষ্টিতে ভিজতে হবে না। রোদে কাতরাতে হবে না। অনেক দিনের জমানো কষ্ট দূর করায় চিৎকার করে তারাবানু বন্ধনের জন্য দোয়া করছেন।

তারাবানু বলছেন, আহ অনেক দিন পর নিশ্চিন্তে আরামে ঘুমাতে পারব না। নামাজ আদায় করতে আর সমস্যা হবে না। বন্ধন আমাকে ঘর নয়, একটা মসজিদ করে দিয়েছে। আমি নামাজ পড়ে বন্ধনের সকলের জন্য দোয়া করব। বন্ধনের কোষাধ্যক্ষ মো. হেদায়ত উল্লাহ বলেন, আমাদের সংগঠনের কোন কার্যনির্বাহী কমিটি নেই। টাকা পয়সা আমার কাছেই থাকে। মানুষের যেকোন সমস্যায় সহায়তা করাই আমাদের মূল উদ্যেশ্য। এর আগেও বন্ধন দেওড়া গ্রামের সাহাব উদ্দিন ও মলাইশ গ্রামের সন্তোষ বাবুকে (৬০) ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন। মিতালী সমাজ কল্যাণ সমিতির সভাপতি ও সরাইল মহিলা কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ মাহবুব খান বলেন, বন্ধনের মানবিক কাজ গুলো সত্যই প্রশংসার দাবীদার। আমি তাদের স্যালুট জানাই। কারণ তারা স্থানীয় সরকার ব্যবস্থার জন্য আশির্বাদ। তাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে সমাজের অসহায় দরিদ্র মানুষ গুলো ভাল থাকবে। এক সময় সমাজে অভাবগ্রস্ত লোকের সংখ্যা কমে আসবে। এগিয়ে যাবে সমাজ গ্রাম ও দেশ।

পরিবারের দু:খ ঘুচাতে প্রবাসে যাওয়ার ১ বছর পর বাড়িতে ফিরল মাসুমের লাশ!

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পল্লী এলাকা শাহজাদাপুর গ্রামের আলেপ খানের দ্বিতীয় ছেলে মাসুম। টকবগে কিশোর বয়সের গন্ডিটা মাত্র শেষ হয়েছে মাসুমের। ১৮ পেরিয়ে ১৯ বছর। পরিবারের টানা পোড়েন। আর্থিক সংকটে লেখা পড়া খুব একটা করতে পারেনি। পিতা মাতা ভাই বোন তথা গোটা পরিবারের দু:খ ঘুচাতেই অল্প বয়সে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে মাসুম পাড়ি জমিয়েছিল দুবাই। মাত্র এক বছর পরই গতকাল শুক্রবার বিকেলে লাশ হয়ে বাড়িতে ফিরল মাসুম (২০)। মাসুমের কফিন দেখে বাকরূদ্ধ পিতা মাতাসহ গোটা পরিবার। শোকের ছায়া নেমে এসেছে সমগ্র শাহজাদাপুর গ্রামে। নারী পুরূষের কান্না আর আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠছে পুরো গ্রামের পরিবেশ। বাদ আছর জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় মাসুমের মরদেহ।

পারিবারিক ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, শাহজাদাপুর গ্রামের আলেপ খান। গৃহস্থিই তার মূল পেশা। এক সময় স্ত্রী, দুই ছেলে ও চার মেয়ে নিয়ে কোন রকমে দু:খে কষ্টেই চলছিল ৮ সদস্যের পরিবারটি। নানা টানা পোড়েনের মাঝেও আলেপ খান দুই ছেলেকে ঘিরে আশার আলো দেখতেন। এক সময় তার সংসারে সুখ আসবে এমন প্রত্যাশায় বারবার সংগ্রাম করেছেন। ৮ সদস্যের আহার যোগাতে রাতদিন হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করতে হয়েছে আলেপ খানকে। ৬ সন্তানের মধ্যে মাসুম খান তৃতীয়। কিশোর বয়স পেরিয়ে মাত্র যুবকে পা দিয়েছে মাসুম। তখনও মাসুম টকবগে কিশোরের মতই। আলেপ খান পারিবারিক স্বাচ্ছন্দের আশায় মাসুমকে প্রবাসে পাঠানোর চিন্তা করেন। পরিবারে দু:খ ঘুচাতেই তার এই চিন্তা। দুবাই যেতে প্রয়োজন ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। অভাবের সংসারে এতটাকা পাবেন কোথায়? অনেক কষ্টে ঋণের পর চড়া সুদে টাকা ম্যানেজ করেন আলেপ খান।

তারপরও ছেলেকে প্রবাসে পাঠাতেই হবে। তার ধারণা ছেলে দুবাই গেলে ঋণ পরিশোধে কোন সমস্যা হবে না। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের মার্চ মাসে মাসুম মা বাবা ভাই বোন ছেড়ে চলে যায় দুবাই। সেখানে যাওয়ার পরই কাজ মিলেনি। বেশ কয়েক মাস কষ্ট করতে হয়েছে মাসুমকে। হাল ছাড়েনি মাসুম। পিতার কষ্টের কথা মাথায় রেখে মাসুম প্রবাসে জীবন যুদ্ধে নেমে পড়ে। প্রথম দিকে বেতন পেত না। মাত্র গত কয়েক মাস ধরে মাসুম বেতন পাচ্ছে। বাড়িতে সাধ্যমত টাকা পাঠাতে শুরূ করে। আর মুঠোফোনে মাঝেমধ্যে মা বাবা’র সাথে কথা হতো মাসুমের। যেখানে কাজ করতেন সেখানেই থাকতেন মাসুম। কিছুটা হলেও আশার দেখতে শুরূ করছিলেন আলেপ খান। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস। গত ১৭ ফেব্রূয়ারি রাতে নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন মাসুম। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টার দিকে ষ্ট্রোক জনিত কারণে ঘুমের মধ্যেই মাসুম মৃত্যুবরণ করেন। মাসুমের আকস্মিক মৃত্যুর খবরে আকাশ ভেঙ্গে মাথায় পড়ে আলেপ খানের। এক দিকে পুত্র শোক। অপরদিকে চড়া সুদের টাকা পরিশোধের চিন্তায় বাকরূদ্ধ হয়ে পড়েন আলেপ। অমানিশার অন্ধকার নেমে আসে গোটা পরিবারে। প্রতি মূহুর্তে জ্ঞান হারাতে থাকেন মাসুমের মা।

গোটা শাহজাদাপুর গ্রামে নেমে আসে শোকের ছায়া। দীর্ঘ প্রায় এক মাস অপেক্ষার পর দুবাই থেকে গতকাল বিকেলে শাহজাদাপুর গ্রামে পৌঁছে মাসুমের মরদেহ। এর আগে মাসুমের লাশ আসছে আসবে এমন খবরে গ্রামের শত শত নারী পুরূষ এক নজর দেখতে ভীর করছিলেন বাড়িতে। লাশ পৌঁছার পর কি এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। ভাইয়ের শোকে ভাই বোনদের মাটিতে গড়াগড়ি আর্তচিৎকার। শান্তনা দেওয়ার ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলেন গ্রামবাসী। বাদ আছর শতশত লোকের অংশ গ্রহনে শাহজাদাপুর পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয় মাসুমের জানাযা। পরে পারিবারিক কবরস’ানে দাফন করা হয় মাসুমের মরদেহ। নিহত মাসুমের পিতা আলেপ খান বলেন, পরিবারের দীর্ঘদিনের দু:খ কষ্ট ঘুচাতেই অনেক কষ্টে দেনা ও সুদে টাকা নিয়ে ছেলেটাকে প্রবাসে পাঠিয়েছিলাম। এই বয়সে আমার মাসুম মারা যাবে কখনো ভাবিনি। পুত্র শোকের পাশাপাশি ঋণ সুদের চাপে আমি অন্ধকার দেখছি। আমার সংসারটা এখন কিভাবে চলবে?

সরাইল থেকে দু-বাড়িয়া বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে উঠান বৈঠক

মাহবুব খান বাবুল, সরাইল থেকেঃ
চার-পাঁচ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সিএসও’কে শক্তিশালী করতে মিতালী উপলদ্ধি ও মেঘনা নামক তিন স্বেচ্ছাসেবক সংঘটনকে নিয়ে পিফরডি প্রকল্পের সহায়তায় মাঠে কাজ শুরূ করেছিল ব্রিটিশ কাউন্সিল। ৩ বছর কাজ করার পর জেলা শহরে গড়ে ওঠে ‘জেলা পলিসি ফোরাম’ (ডিপিএফ)। এক সময় প্রকল্পের অর্থ বরাদ্ধ শেষ হলেও থামেনি ডিপিএফ। নিজস্ব ও স্থানীয় দাতাদের অর্থায়নে দ্রূত গতিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে নানা সামাজিক কর্মসূচি। এসব কাজে বরাবরই ‘র‌্যাপ’-এর সহায়তা উল্লেখযোগ্য। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার ডিপিএফ’র উদ্যোগে ও ‘র‌্যাপ’ নামক এনজিও’র আর্থিক সহায়তায় দিন ব্যাপি ‘বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ বিষয়ে উঠান বৈঠক’ অনুষ্ঠিত হয় জেলার চান্দুপুর ইউনিয়নের দু-বাড়িয়ায়। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। সূত্র জানায়, দু-বাড়িয়া গ্রামের র‌্যাপ এনজিওটি মানবিক ও সামাজিক কাজে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন। র‌্যাপ-এর নির্বাহী পরিচালক মো. আশিকুর রহমান ভূইয়াও ডিপিএফ-এর সদস্য। ‘বাল্যবিয়েকে না বলি, ঘৃণা করি’ এমন স্লোগানকে সামনে রেখে শুক্রবার সকাল ১০ টা থেকে গ্রামের বিভিন্ন বয়সের নারীরা জড়ো হতে থাকে ‘র‌্যাপ’ অফিসের সামনে। সকাল ১১টার দিকে কাণায় কাণায় পরিপূর্ণ হয় স্থানটি। অজপাড়া গায়ের দেড় শতাধিক নারীর উপস্থিতির ওই বৈঠকে ছুটে আসেন অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক। র‌্যাপ ও ডিপিএফ ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করেন তাঁকে। ডিপিএফ’র সদস্য এস.এম শাহিনের সঞ্চালনায় সভাপতি মো. আরজু মিয়ার সভাপতিত্বে ওই বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিপিএফ’র সম্পাদক মো. শরীফ উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে প্রকল্পের সাবেক ডিএফ খোদেজা বেগম, সদস্য মোহাম্মদ মাহবুব খান, মো. আশিকুর রহমান ভূঁইয়া, সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. হুমায়ুন কবির, র‌্যাপ-এর সদস্য শেফালি বেগম ও জেসমিন আক্তার। গ্রামীণ পরিবেশে কর্মব্যস’তার সময়েও মহিলাদের মিলনমেলায় অভিভূত হয়ে পড়েন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। তিনি অত্যন্ত সাবলিল, শ্রূতিমধুর, সহজ-সরল ও হাস্যরসে ভরা ভাষার বক্তব্যে স্বল্প সময়ে মাতিয়ে তুলেন উঠান বৈঠককে। তিনি নিজের মেয়েকে পুত্রবধূ ও পুত্রবধূকে নিজের মেয়ে ভেবে ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে বিয়ে না দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন। প্রধান অতিথি বাল্যবিয়ের কুফল গুলো সুন্দর ভাবে ব্যাখ্যা করে বলেছেন, শিশু ও কিশোরীকে বিয়ে না দিয়ে শিক্ষিত করূন। ফলে সে পরিবার, গ্রাম, দেশ ও জাতীর জন্য সম্পদে পরিণত হবে। আপনার ছেলে মেয়েকে মাদক থেকে দূরে রাখুন। কারণ একটি পরিবারকে চিরতরে ধ্বংস করতে একজন মাদকসেবীই যথেষ্ট।