চা বিক্রি করে পিইসিতে জিপিএ ৫ পাওয়া বিশালের পাশে দাড়াল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন……
বাবার চায়ের দোকানে থেকেবিশালের পাশে এসে দাড়ালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন। বিশালকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করিয়ে তার লেখাপড়ার খরচ দিবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, বিশালকে অামি থেকেই চিনতাম। তবে তার জিপিএ ৫পাওয়ার বিষয়টি ছাত্রলীগ নেতা জাহাঙ্গীরের মাধ্যমে জানতে পারি। পরে রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে তার পরিবার এবং অার্থিক অবস্থা সম্পর্কে খোজখবর নেই। বিশালের বাবা মো:লিয়াকত অালী স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সংসার। বাড়ি ভাড়া, তিন সন্তানের পড়াশুনার খরচসহ অন্যান্য সাংসারিক ব্যয় মেটানো হয় চা বিক্রির আয় থেকেই। তার পক্ষে পড়ালেখার খরচ বহন করা কষ্টকর। সেজন্য মেধাবী ছাত্র বিশাল যেন তার পড়ালেখা বন্ধ না করে সেজন্য তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেন।
এ মানবতা থেকে জেলা ছাত্রলীগের অন্যান নেতাকর্মীরা অনুপ্রানিত হবে বলে অাশা প্রকাশ করেন তিনি।
এবিষয়ে বিশাল জানায়, অামি অাশা করিনি জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অামার পড়ালেখার দায়িত্ব নিবেন। পড়ালেখা করে বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ান হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বিশাল।
বিশালের পিইসি’র ফলাফল বিবরণী থেকে দেখা যায়, সে ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতেই এ প্লাস পেয়েছে। বাংলায় ৮৫, ইংরেজিতে ৮৭, গণিতে ৮০, সমাজ বিজ্ঞানে ৯০, সাধারন বিজ্ঞানে ৯১ ও ধর্মে ৯৬ নম্বর পেয়েছে বিশাল।
পরীক্ষা চলাকালীনও রাতে একটা-দুইটা পর্যন্ত দোকানে ছিলো বিশাল।