ডিঃব্রাঃ ডেস্কঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনা টাকার বিরোধের জেরে চার সন্তানের এক জননী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গত রোববার সন্ধ্যায় বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের মাশাউড়া বিলে এই ঘটনা ঘটে। ভিকটিমকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
ভিকটিম ও তার পরিবারের লোকজন জানান, ওই নারী সদর উপজেলার চিনাইর এলাকায় একটি হাঁসের খামারের মালিক। একই এলাকার মানজু মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ওই হাঁসের খামারে কাজ করতেন।ওই গৃহবধূ খামারের হাঁস ও ডিম বিক্রির প্রায় ৪লাখ ২০হাজার টাকা মানজু মিয়ার কাছে জমা রেখেছিলেন।গৃহবধূ কিছুদিন আগে মানজু মিয়ার কাছে রাখা টাকা ফেরত চাইলে দেম দিচ্ছি করে ঘুরাতে থাকে মানজু মিয়া।
রোববার বিকেলে মানজু মিয়া টাকা দেয়ার কথা বলে ওই গৃহবধূ ও তার স্বামীকে এলাকার শয়তাইন্নাঘাট নামক স্থানে ডেকে নেন। পরে সেখানে যাওয়ার পর মানজু মিয়া তাদেরকে পাওনা টাকা ফেরত না দিয়ে উল্টো একদল লোক নিয়ে মারধোর করে। এক পর্যায়ে গৃহবধূর স্বামীকে তিতাস নদীতে ফেলে দিয়ে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ইঞ্জিনের নৌকায় তুলে বিজয়নগর উপজেলার মাশাউড়া বিলে নিয়ে একটি ঘরে মানজু মিয়া তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তার স্বামী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে বিলের ঘর থেকে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মানজু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তাকে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে বলেন, এটি তার বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ওই মহিলার হাঁসের খামারে ৭ বছর ধরে তিনি পার্টনার ছিলেন। খামারে ১হাজার ৮শ হাঁস ছিল। খামারটি ওই মহিলা পরিচলনাকালে ব্যবসায় লোকসান দেখানো হতো। পরে তিনি ব্যবসা পরিচালনা করলে ব্যবসায় লাভ হতে থাকে। এনিয়ে ওই মহিলার সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হলে তিনি আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
আদালত থেকে নোটিশ পাওয়ার পর ওই মহিলা খামারের অর্ধেক হাঁস তাকে দিয়ে দেন। তিনি যে আমার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। সরেজমিনে তদন্ত করলে সত্য ঘটনা প্রকাশ পাবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন জানান, ওই গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। তবে ল্যাবরেটরি রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ রইস উদ্দিন জানান, হাঁস বিক্রির পাওনা টাকা নিয়ে ঝগড়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। যাদের সাথে ঝগড়া হয়েছে তারা সম্পর্কে চাচাত ভাই বোন বলে শুনেছি। তবে ধর্ষনের বিষয়ে আমাদের কাছে সোমবার রাত ৭ টা পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।